পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমর প্রেম যথা সময়ে পরীক্ষা আসিল। মনােহর লতিকাকে সঙ্গে লইয়া গিয়া পরীক্ষা দেওয়াইয়া আনিলেন। | সংসার যেমন চলিতে থাকে তেমনই চলিতে লাগিল। সুহাসিনী মেয়ের লেখাপড়া করা, পরীক্ষা দেওয়া সম্বন্ধে ভুলেও একটি কথা উচ্চারণ করিলেন না। মাস কয়েক পরে পরীক্ষার ফল বাহির হইলে জানা গেল যে লতিকা প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হইয়াছে। লতিকা মায়ের চরণে প্রণাম করিয়া বলিল, মা, আজ পাশের খবর এল, আজও কি মা রাগ ভুলে গিয়ে একটি আশীর্বাদ করবে না? সুহাসিনী একবার কি ভাবিলেন। তারপর লতিকার মাথায় হাত দিয়া। মনে মনে আশীর্বাদ করিলেন ও তাহাকে উঠাইয়া বুকের কাছে ক্ষণকাল রাখিয়া বলিলেন, রাগ কেন মা, আশীর্বাদ করছি, মা তােরা সবাই সব সুখে সুখী হ’স যেন। সঙ্গে সঙ্গে লতিকার শিরে দুই বিন্দু অশ্রু ঝরিয়া পড়িল। কোথায় যে সুহাসিনীর রাগ সে কথা তাে মেয়ে বুঝে না, আর মেয়েকে সে কথা বুঝাইয়া বলা যায় না। সর্বাপেক্ষা আনন্দ হইয়াছিল মনােহরের। মনােহর মনােমধ্যে কয়েকটা বাসনা সংগােপন রাখিয়াছিলেন। তন্মধ্যে একটা হইতেছে মেয়েদের শিক্ষিতা করিয়া যাওয়া। তাঁহার জ্যেষ্ঠা কন্যা শিক্ষার সােপানে উঠিয়াছে ইহাই তঁাহার আনন্দের কারণ। রাত্রে মনােহর অন্যদিন অপেক্ষা একটু প্রফুল্লভাবে এবং অন্যদিনের চেয়ে একটু আগে গৃহে ফিরিলেন। সুহাসিনীকে বলিলেন, দেখ অত বেশী রাত্রি পর্যন্ত কাজ কর না, এতে শরীর টিকবে না।