পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমর প্রেম মনােহরের শরীর ও মন তখন নিরাশার ভারে ভাঙ্গিয়া পড়িতেছিল। ক্লান্তকণ্ঠে কহিলেন, আচ্ছা, স্বীকার করছি তােমাদের’ বলা অন্যায় হয়েছে। আজ থেকে তােমাদের না বলে আমার ব্য। আমি যে রােজ সকালে ছেলে পড়ানন থেকে সন্ধ্যায় দোকানদারের খাতাপত্র লেখা পর্যন্ত সব নিজের জন্য করি—এই কথাটাই বব ও ভাবব। সুহাসিনী বলিলেন, তুমি দোকানে খাতা লেখ কি ওজন কর সে কথা আমাকে শােনানাের কি দরকার ! আমি পরণের দুখানা কাপড় আর পেটের দুমুঠো ভাত ছাড়া কখন কিছু চাইনি—পাইওনি। তা আমাকে ওকথা বলা কেন? নিজের দরকার বুঝেছ--করেছ ; দরকার বুঝতে -করতে না। | মনােহর নিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, নিজের দরকার কি কার দরকার যে দিন জাবে সে দিন বুঝবে। | ‘আমি জাতেও চাইনে, বুঝতেও চাইনে। চিরকাল যা করে এসেছি, আজও তাই করছি। বলিয়া সুহাসিনী রাগ করিয়া সেখান হইতে তাড়াতাড়ি চলিয়া গেল। | মনােহর ভাবিতে বসিলেন। ভাবনার আর শেষ নাই। অন্যদিন স্কুল থাকে, ছেলে পড়ানাে থাকে, সময় একরকমে কাটিয়া যায়। কিন্তু আজ চিন্তা ব্যতীত আর কিছুই সম্বল নাই। কোন দিকে সহানুভূতির কোন প্রত্যাশা নাই। কন্যার বিবাহের যৌতুক দিবার ক্ষমতা নাই। সমাজের যে অবস্থা তাহাতে পাত্রপাত্রের বিচার নাই। পুরুষ হইলেই সে পাত্র সুতরাং তাহাদের ইচ্ছামতই যৌতুকাদি দিতেই হইবে। না দিলে বিবায়ে