পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমর প্রেম কথিকা বলিল, পরশু দিদি আর আমি থােকাকে নিয়ে ওদের বাড়ী গিয়াছিলাম, তা বাভুয্যে গিন্নি বলে কি জান মা? বলে এত বড় মেয়ে হাত-খালি কেন রে? তাের মা-বাপের কি দুগাছ। বাধান শাখাও জোটে না যে হাতে দিয়ে রাখে। দিদিতাে শুনেই রেগে থােকাকে নিয়ে দূর দূর করে চলে এলাে। আমি আবার। সমর বলে এলাম—তাতে আর আপনাদের কি ক্ষতি হয়েছে ? আপনাদের কাছে ত চাইতে যাচ্ছিনে! সুহাসিনী এ সব কথা কিছুই জানি না। এ পর্যন্ত শুনির। সে একটু উত্তেজিত হইয়া বলিল—তারপর কি বলে গিনি ? কথিকা হাসিয়া বলিল,-তা বেশ ভালই বলে না। বলে, বাবা? নেয়ে তাে নয়, যেন কেউটে সাপ ! সুহাসিনী রাগের সঙ্গেই মুখে বলিল—দুই বেশ করেছিলি বলেছিলি ; কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তাহার চোখ দুটো সজল হইয়া আসিল। মনে হইল-হায়, কি অদৃষ্ট করিয়াই আসিয়াছিলাম যে মেয়েদের হাতে দুগাছা করিয়া কাচের চুড়িও দিতে পারেন না। লােককে ভগবান্ বলতে দিয়েছেন—ববেই তাে। সঙ্গে সঙ্গে মনে হইল—তাহা হইলে লতুর তাে কোন দোষ নাই। বিনাদোবে মেটেটা মার খাইল। অথচ এমন মেয়ে—কেন ওদের বাড়ী যাইবে না সে কথা তাহাকে বলিল না–চুপ করিয়া মার খাইয়া বাহিরে গেল। | সুহাসিনীর চক্ষু দিয়া ট টপ করিয়া অশ্রু ঝরিতে লাগিল। কথিকা রুটি বেলিতে বেলিতে মায়ের দিকে চাহিল। রুটি বেলা বন্ধ রাখিয়া ৭।