পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r । অমর প্রেম ৮১ বুঝিল মায়ের মুচ্ছা হইয়াছে, পিতা আর উঠিবেন না। দুইজনে চারিদিকে অকুল-পাথার দেখিল। লতিকা উচ্ছ্বসিত ক্রন্দনের মধ্যেই বুদ্ধি করিয়া কহিল, রামু, শীগগির গিয়ে অমর-দাকে ডেকে নিয়ে আয়। রামাদ অশ্রু মুছিতে মুছিতে অমরদের গৃহের উদ্দেশে ছুটিল। তাহার পর অমর আসিয়া দুইজনের অবস্থা দেখিল। অমরের পিতা চন্দ্রনাথ উপস্থিত হইলেন। প্রতিবেশীরা ভিড় করিয়া দ্বাড়াইল। ডাক্তার ডাকা হইল। তিনি আসিয়া সুহাসিনীর চৈতণ্ঠ সম্পাদন করিলেন। মনােহরের দেহ পরীক্ষা করিয়া বলিলেন, তাহার মৃত্যু ঘণ্টাখানেক কি কিছু বেশীক্ষণ হইয়াছে। হঠাৎ হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়াই মৃত্যুর কারণ। চৈতন্য হওয়ার পর হইতে সুহাসিনী স্তম্ভিত হইয়া রহিলেন। দেখিলে মনে হয় যেন তাহার কঁদিবার শক্তি লােপ পাইয়াছে। চন্দ্রনাথবাবু দাঁড়াইয়া থাকিয়া অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সব ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। গ্রামেরই কয়েকটি যুবক ও একজন প্রৌঢ় সৎকারের ভার লইলেন। অমরও তাহাদের মধ্যে রহিল। | যাইবার আগে—অমর একখানি কাগজ লতিকার হাতে দিয়া কহিল, • এখানি স্যারের চিঠি, রেখে দাও, আমরা বাইরে গেলে কাকীমার হাতে দিও। অধীর হােয়াে না। কথিকার হাতে থােকার ভার দিয়ে তুমি মাকে দেখাে। মায়ের কাছে কাছে থেকে। আমি শীগগির ফিরে আসব। মৃতদেহ লইয়া সকলে বাহির হইয়া গেল। ভূমিকম্পের অব্যবহিত পূর্বেও পুঞ্জীভূত উত্তপ্ত বারিরাশি অভ্যন্তরে লইয়া পৃথিবী যেমন শামুখে চাহিয়া থাকে তেমনি সুহাসিনী অন্তরে অবরুদ্ধ শােকরাশি লইয়া প্রস্তরমূর্তির