পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(১৩) স্কুলে কয়দিনের বেতন পাওনা ছিল, ছেলে পড়ানাের টাকাও কিছু বাকি ছিল, এবং নরহরি একবৎসরের হিসাব ৭৫ টাকার পরিবর্তে আপনা হইতে আসিয়া একশত টাকা দিয়া গেল। তাহাতেই চন্দ্রনাথের পরামর্শে অল্পে শ্রাদ্ধ সারিয়া মাসখানেকের খরচের উপযােগ টাকা হাতে রহিল। সংবাদ পাইয়া রামপ্রসাদের জ্যাঠাও আসিয়াছিলেন। শ্রদ্ধের পর তিনি চলিয়া গেলেন। বলিয়া গেলেন, এখানকার কাজ কর্ম্ম সব মিটাইয়া দেশে ফিরিয়া যাওয়াই ভাল। আর এখানে পাকিয়া কি হইবে ? সংসারের কর্তার মৃত্যু হইলে সর্বপ্রথম এই সংবাদেরই প্রয়ােজন হয় যে তিনি কি পরিমাণে অর্থ রাখিয়া গিয়াছেন। যতই অকাব্য হউক্, ইহাকে অস্বীকার করিবার উপায় নাই। কারণ মানুষ মাত্রেরই সর্বপ্রথম কাষ তাহার বাঁচিবার চেষ্টা। চন্দ্রনাথবাবু যেদিন লতিকার সহিত অমরের বিবাহের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করিয়াছিলেন সেই রাত্রেই মনােহরের মৃত্যু হয়। ইহাতে চন্দ্রনাথবাবুর মনে বড়ই ক্ষোভ হইয়াছিল। কি উপায়ে —এই হতভাগ্য পরিবারের কিঞ্চিৎ উপকার করেন, কি করিয়া এতগুলি ছেলেমেয়ের অন্নবস্তু সংস্থানের ব্যবস্থা করিয়া দিতে পারেন—ইহাই তাহার চিন্তা হইয়াছিল। তাঁহারই উপদেশ মত শ্রদ্ধের পরদিন অমর আসিয়া সুহাসিনীকে বলিলবাবা বলে " ।।