পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমর প্রেম ৮৭ বলিয়া অমর ধীরে ধীরে উঠিয়া পড়িল। অমর কক্ষ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইবামাত্র সুহাসিনী উঠিয়া দুয়ার বন্ধ করিয়া মেঝের উপর লুটাইয়া পড়িয়া কঁদিতে লাগিলেন। লৌহ-শলাকার মত এই চিন্তা তার হৃদয়ের মধ্যে বাজিতে লাগিল। তুমি এই হতভাগিনীর জন্য এত ভাবিয়াছ, এত পরিশ্রম করিয়াছ অথচ একটা দিনের জন্য কথাটা বল নাই কেন? আমি যে তােমাকে কত কঠিন কথা বলিয়াছি ; নিজের দুঃখের কথা ভাবিয়া তােমার দুঃখের কথা যে একটী বারের জন্যও মনে করি নাই। যখন তুমি সংসারের কথা ভাবিয়া সারা হইতেছ তখনও তুমি ঘাের উদাসীন এই কথা মনে করিয়া তােমার প্রতি ঘােরতর অবিচার করিয়াছি। আমি কি করিয়া তােমার বুকের রক্তে সংগৃহীত অর্থে এই তুচ্ছ হীন জীবন ধারণ করিব ! এ অভাগিনীকে এত ভালবাসিয়া শেষে তাহাকে এমন শাস্তি দিয়া গেলে কেন? - - 1 [ ১৪ । আর মাসখানেকের মধ্যেই জীবনবীমার টাকা সব পাওয়া গেল। চন্দ্রনাথবাবু সুহাসিনীর নামে ৩০০০ তিন হাজার টাকার কোম্পানীর কাগজ কিনিয়া দিলেন, দেড় হাজার টাকা নিকটবর্তী একটি পিপলস ব্যাঙ্কে নির্দিষ্ট কালের জন্য বেশী সুদে রাখিলেন ও পাঁচশত টাকা সুবাসপুরের এক ধর্মভীরু ব্যবসায়ীকে শতকরা ১১ এক টাকা সুদে গুনােটে ধার দেওয়া হইল। এইভাবে :মাসিক প্রায় ৩০ টাকা। । ।