পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্রাঃ শঙ্করের শেষ কীর্ত্তিটির। কারও লাগিয়াছে চমক, কেউ হইয়াছে অবাক, কারও লাগিয়াছে। মজা, কেউ করিয়াছে আপশোষ। কারণটা অনুমান করিতে পারিয়াছে সকলেই। পরীক্ষা খারাপ হওয়ার প্রতিক্রিয়া। লজ্জা নয়,-লজার জন্য হইলে শেষদিনের পরীক্ষা দিয়া শঙ্কর এ কাজ করিত না, এখন তো আর কেউ জানে না সে কেমন পরীক্ষা দিয়াছে ! আত্মীয়স্বজনকে মুখ না দেখানর জন্য হইলে শঙ্কর জেলে যাইত পরীক্ষার ফল. বাহির হইলে,—তার এখনো অনেক দেৱী। এ কাজের প্রেরণা শঙ্করকে দিয়াছে, দুঃখ, গ্লানি, যন্ত্রণা -“রিয়্যাকসন”। কিন্তু শঙ্করের মত ছেলে এমন পাগলামী করিল কেন ? এত যে ফিটফাট থাকা তার স্বভাব, অসংখ্য ছোট বড় আরাম ছাড়া যে তার দিন চলে না-জেলে সে এ সব পাইবে কোথায় ? আহা বড় কষ্ট হইবে ছেলেটার। শঙ্করের মা একটু কঁদিলেন, বীরেশ্বরকে বলিলেন, 'চুরি ডাকাতির জন্যে তো নয়, জেলে ওকে চা খেতে দেবে তো বাবা ?” সীতা পিসীমা বলিলেন, “উঃ! কি আশ্চর্য্য মন মানুষের। পড়তে পড়তে আমায় বলত, এগজামিন