পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্রা: সীতা বলেন, “মানুষের মন কি আশ্চর্য্য দেখলে তো ? এই বললে জানি না, আবার বলছ জিনিস ! মানুষের মনের কথা যখন ভাবতে আরম্ভ করি দাদা-” রামলাল বিরক্ত হইয়া বলিলেন, ‘মনে মনে ভাবতে পারিস না ? তোর মনের কথা শুনতে শুনতে মানুষের গায়ে জ্বর আসে।” শঙ্করকে ‘পেগ' টানিতে দেখিয়া রামলালের যেমন হইয়াছিল, এ কথায় সীতাও তেমনি হতভম্ব হইয়া গেলেন। মুখের চামড়া কুঁচকাইয়া কৃপালের স্থায়ী রেখাটি ছাড়া আরও অনেকগুলি রেখা দেখা দিল—এক মুহূর্ত্তে সীতার যেন বাৰ্দ্ধক্য আসিয়ছে। চলন্ত গাড়ীর বঁক ঘূরিবার মত অৰ্দ্ধচক্রাকারে একটা পাক দিয়া তিনি ঘর হইতে বাহির হইয়া গেলেন, গেলেন বীরেশ্বরের কাছে। কপালের স্থায়ী রেখাটিকে বঁ হাতের আঙ্গুলোর ডগা দিয়া সজোরে ঘষিতে ঘষিতে নালিশ করিলেন, “এখানে আমার তো আর থাকা হয় না। বাবা ' বীরেশ্বর শান্ত ভাবে বলিলেন, ‘কেন ?” “কি করে থাকি ? তুমি বুড়ো হয়েছ, আজ বাদে কাল চোখ বুজবে। দাদা। তখন আমায় দূর দূর করে খেদিয়ে দেবে না ?” У У о