পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্রা: | দোকান, অল্প একটু জায়গায় যতগুলি সম্ভব অরণ্যানীর প্রতিনিধিকে ঠাই দেওয়া হইয়াছে। দেখিয়া হয়ত কারও চোখ জুড়ায় । জগতে অন্ধ যত আছে, চোখথাকিতে-অন্ধের সংখ্যা তো তার চেয়ে কম নয়। ইতিমধ্যে অনুপম ও শঙ্কর পরস্পরকে তুমি বলিতে আরম্ভ করিয়াছিল বলিয়াই বোধ হয়। দুজনকে একটা ঘরে তালা বন্ধ করিয়া রাখার সঙ্কল্প বীরেশ্বরের আর দেখা গেল না । দুজনকে তিনি লইয়া গেলেন দোতলার অন্দরে, যেটা আসবাবে ঠাসা , প্রকাণ্ড একটা - ঘর এবং যেখানে দুপুরবেলা বাড়ীর মেয়েরা খেলে তাস এবং পাড়ার মেয়েরা বেড়াইতে আসিলে বসে মজলিস। সীতা-পিসীমাই আগে আসিলেন। মাঝবয়সী বিধবা মানুষ তিনি, পরণে তাই ধবধবে সাদা হাতকাটা সেমিজ আর ধবধবে সাদা চুলপাড় ধুতি । কপালে চামড়ার ভাজে সৃষ্টি লম্বা রেখাটি অত্যন্ত স্পষ্ট। রেখাটি দুশ্চিন্তার ' নয়, চিন্তার। সাত বছর আগে। সধবা অবস্থায় তিনি যখন পড়িতেনও কম, ভাবিতেনও কম, তখনও এই রেখাটি ছিল, তবে এত অস্পষ্ট যে, লোকে দেখিয়াও দেখিত না । তারপর বিধবা হইয়া তিনি পড়াশোনা করেন-মনস্তত্ত্ব আর দেহতত্ত্ব ছাড়া মানুষের সম্বন্ধে У о