পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্ত পুত্রাঃ ঘর-কাটা ফুটপাথে পানের পিক, নোংরা জল, ছেড়া কাগজ, ছেড়া পাতা, কুকুর, মানুষ, গরু, ঘোড়া, গাড়ী, বাড়ীঘর, আকাশ, যেখানে যা কিছু আছে সমস্তের মধ্যে, কারণ জগৎটা তাই,-মাথার ফাঁকির খেলার মধ্যেও বাহিরে সব কিছু থাকার রহস্য। শঙ্করের কি আর বুঝিতে বাকী আছে, বাস্তবতা কাকে বলে ? তরঙ্গ ঠিক বলিয়াছে, মানুষ হইয়া যে একজন দু’জন মানুষের জন্য কঁাদে, সে অমানুষ । কঁদিতে যদি হয়তো বৃহত্তর কোন কিছুর জন্য কঁাদা উচিত, সে কান্নাই প্রকৃত প্রেমের লক্ষণ, আর সব স্যাকামি । আরও যেন কি সব বলিয়াছে তরঙ্গ। বড় বড় চোখ দুটি আরও বড় বড় করিয়া তরঙ্গ যত বড় বড় কথা বলিয়াছিল, ইতিমধ্যে প্রায় তার সমস্তই ভুলিয়া গিয়াছে দেখিয়া শঙ্কর আশ্চর্য্য হইয়া যায়। এত বই পড়িয়া এত কথা এতকাল ধরিয়া মনে রাখিতে পারিয়াছে, শুধু তরঙ্গের কথাগুলি দশ মিনিটের মধ্যে ভুলিয়া গেল ? সে যে অপদার্থ তাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু কে অপদার্থ নয় ? দৃষ্টিতে যেন তার নূতন একটা রশ্মি সঞ্চারিত হইয়াছে, মানুষের বহিরাবণ ভেদ করিয়া একেবারে ভিতরটা খানাতল্লাস করিবার শক্তি জন্মিয়াছে—এমন কি, একশ’ দেড়শ’ গজ দূরে Ve A