পাতা:অমৃতস্য পুত্রাঃ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃতস্য পুত্রাঃ দাড়াইয়া যে লোকটা চুরুট টানিতে টানিতে ট্রামের জন্য অপেক্ষা করিতেছে, তার ভিতরটা পর্যন্ত শঙ্করের দৃষ্টির আলোতে সুস্পষ্ট। লোকটার কাছাকাছি। যাইতে যাইতে ট্রাম আসিয়া পড়িল, শঙ্করও উঠিয়া পড়িল ট্রামে । ট্রামের দেশী আর বিদেশী আর দেশী-বিদেশী নরনারীগুলিও সব অপদার্থ। কারও মুখে মনুষ্যত্বের ছাপ নাই, বৃহত্তর মহত্তর কিছুর জন্য কঁাদা দূরে থাক, দু’একজন মানুষের জন্য পর্য্যন্ত তারা কেউ কঁাদিতে রাজী কি না সন্দেহ, ট্রামের টিকিট কেনার পয়সা খরচ করার দুঃখ সহ্যু করিতেই যেন সকলের প্রাণ বাহির হইয়া যাইতেছে। এখন বাড়ী ফিরিবার ইচ্ছা শঙ্করের ছিল না। তবু বাড়ী ফিরিতে হইলে একটা পার্কের যে কোণে নামিয়া তাকে বাসে উঠিতে হইবে, সেইখানে সে নামিয়া পড়িল। পার্কে একটা সভা হইতেছে, সভায় না। ঢুকিয়াই বোঝা যায় দেশের নামে দেশের লোকের সভা, কারণ, সমগ্রভাবে সভার চেহারাটা কুড়ানো আবৰ্জনার স্তুপের মত,- হুজুগের ঝাটা অকেজো, ফেলনা কতকগুলি মানুষকে একত্র করিয়াছে। তরঙ্গের সঙ্গে সমস্ত জগত তাকে পরিত্যাগ করিয়াছে, ভিতরে এই রকম একটা অনুভূতির প্রাবল্য থাকায় ভাঙ্গাবাড়ীর পুরাণো ইট-পাটকেলের Ver