পাতা:অরূপরতন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরপরতন না । যদি অনুমতি করে তাহেলে এখনি রথ আনিয়ে দিতে পারি। সুদৰ্শন ! না, ন’ অমল কথা বোলো ন!—যে পথ দিয়ে তার কাছ থেকে দূরে এসেছি, সেই পথের সমস্ত ধূলোটা পা দিয়ে মাড়িয়ে মাডিয়ে ফিরব তবেই আমাৰ বেরিয়ে আসা সার্থক হবে । বণে ক’রে নিয়ে গেলে আমাকে ফাকি দেওয়া হবে । স্বরঙ্গমা। মহারাজ, তুমিও তে। আজ ধলোয় । এ পথে তা হাতি ঘোড রথ বারো দেখিলি । সুদৰ্শন । যখন প্রাসাদে ছিলুম তখন কেবল সোনারূপের মধ্যেই প। ফেলেছি—আজি তার ধূলোব মধ্যে চ'লে আমার সেই ভাগ্যদোষ পণ্ডিয়ে নেব । আজ আমার সেই ধূলোমাটির বাজার সঙ্গে পদে পদে এই ধূলোমাটিতে মিলন হচ্চে, এ স্বপেন খবর কে জানত ! স্তৰঙ্গম। । ঐ দেখে, পূর্বদিকে চেয়ে দেখে ভোর হয়ে আসছে। আব দেবি নেই—তার প্রাসাদে ব সোমার চুডার শিখর দেখা যাচ্চে । ( ঠাকুবদদের প্রবেশ) ঠাকুরদাদ। । sেiব হোলো, দিদি, ভোর হোলে । সুদৰ্শন ! তোমাদের আশীর্ব্বাদে পোঁচেছি । ঠাকুরদাদা । কিন্তু আমাদের রাজার বকম দেখেছ ? পথ নেই, বাদ্য নেই, সমারোহ নেই ! স্বদর্শন । বলো কী, সমারোহ নেই ? ঐ যে আকাশ একেবারে বাঙা, ফুলগন্ধের অভ্যর্থনায় বাতাস একেবারে পরিপূর্ণ ! ঠাকুরদাদা । তা হোক, আমাদের রাজা যত নিষ্ঠর হোক আমরা তো তেমন কঠিন হোতে পারিনে—আমাদের যে ব্যথা লাগে ! এই \9&