নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে। কলকাতা হাইকোর্টেও জনস্বার্থ মামলা করা যেতে পারে। বুধবার বেলায় বারাসত আদালতের লকআপে স্বামী সত্যানন্দ
ও তার নিরাপত্তারক্ষী হাজির করে পুলিশ। পরে একে একে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভর্তি করে ধৃত জ্যোতিষীর কিছু সমর্থক আসেন। আসেন ধৃতের দ্বিতীয় স্ত্রী অলকানন্দা বিশ্বাস ও সহযোগিনী শতাব্দী চট্টোপাধ্যায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, স্বামী সত্যানন্দের আসল নাম প্রদীপ বিশ্বাস। এক সময় উত্তর শহরতলির সিঁথি এলাকায় প্রথম পক্ষের স্ত্রী শ্যামলী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। পরবর্তীতে অলকানন্দাকে বিয়ে করেন। তবে, স্বামী সত্যানন্দের বিমান প্রশিক্ষণ নিয়ে যে সংস্থা রয়েছে তার আইনি বৈধতাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুপুর ১টার খবর, পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ধৃতের সমর্থকরা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেয়। ধৃত জ্যোতিষীর আইনজীবীরা জানান, পুলিশ মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে। যে কেবল চ্যানেলের দোহাই দেওয়া হচ্ছে, সেখানে এমন কিছু বলেননি সত্যানন্দ। এডিট করে এসব সাজানো হয়েছে। উল্টে সত্যানন্দর অভিযোগের ভিত্তিতে যুক্তিবাদী সমিতির লোকেদের গ্রেফতার করা উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশ তা করেনি।

৩ চৈত্র ১৪১১ বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ ২০০৫ কলকাতা সংস্করণ ২.৫০ টাকা
১৫ টাকার আংটি ৫ হাজারে বেচে বিমান কিনেছেন
বুজরুক সত্যানন্দ?
অমর চক্রবর্তী : বারাসত, ১৬ মার্চ : ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সম্পাদক প্রবীর ঘোষকে টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ধৃত জ্যোতিষী ‘আচার্য’ সত্যানন্দকে দু’দিন জেলহেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। তাঁর সঙ্গী রাজীব সাহা শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন। বুধবার বারাসত আদালতে সত্যানন্দকে দেখতে ভিড় করেন অনেক উৎসাহী মানুষ। ছিলেন বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সদস্যরাও। ভারপ্রাপ্ত সি জি এম সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরি অভিযুক্তকে ফের শুক্রবার বারাসত আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন। পুলিশের জিপে ওঠার আগে সত্যানন্দ বলতে থাকেন, ‘হিন্দুধর্মের প্রতি বিদেশিদের আঘাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাব।’ পুলিশ গতরাতেই গোলাবাড়িতে লুকিয়ে থাকা ওই জ্যোতিষীকে গ্রেপ্তার করে। প্রথম জীবনে