সত্যানন্দের নাম ছিল প্রদীপ বিশ্বাস। থাকতেন দমদম সিথির মোড়ে। একটি অশ্লীল পত্রিকার সম্পাদক প্রদীপ হঠাৎ উত্তরপ্রদেশ চলে যান। কয়েক বছর পর ফিরে আসেন সত্যানন্দ নাম নিয়ে। শুরু করেন জ্যোতিষচর্চা। বড় দাড়ির আড়ালে থাকা প্রদীপকে কেউ চিনতে পারেনি। বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির বক্তব্য, জ্যোতিষচর্চা করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। এখন সত্যানন্দের কলকাতার হিন্দুস্থান পার্কে একটি বিমান চালনার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়া বারাসতেও নাকি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছেন। ভারতীয় যুক্তিবাদী সমিতির দাবি, অসৎ উপায়ে উপার্জন করা টাকায় সত্যানন্দ একটি ৪ আসনের বিমান কিনেছেন। বছরে কয়েক কোটি টাকা বিজ্ঞাপনে খরচ করেন তিনি। ৯ মার্চ ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের তথ্যচিত্র ‘প্রবীর দি র্যাশনালিস্ট’-এর শুটিং করতে গিয়েই প্রবীরবাবু সত্যানন্দের বুজরুকি ধরে ফেলেন। এতেই কুপিত সত্যানন্দ তাঁকে ‘হিন্দু ধর্মের শত্রু’ বলে অভিযুক্ত করেন। প্রবীর ঘোষের অভিযোগ, ‘সত্যানন্দের চেলারা সেদিন ওই বিদেশি চ্যানেলের প্রতিনিধি ফ্রেঞ্চ রবার্টকে দরজা বন্ধ করে মারধর করেছে। অভিযোগ,সা মান্য একটি ১৫ টাকা দামের মন্ত্রপূত অষ্টধাতুর আংটি দিয়ে সত্যানন্দ সাড়ে ৫ হাজার টাকা ভক্তদের থেকে নেন। এর প্রমাণ ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির কাছে আছে বলে প্রবীরবাবুর দাবি।

কলকাতা শিলিগুড়ি ৪ চৈত্র ১৪১১ শুক্রবার ১৮ মার্চ ২০০৫
জামিন হল না জ্যোতিষী সত্যানন্দর
নিজস্ব সংবাদদাতা, বারাসত, ১৭ মার্চ : জামিনের আবেদন নাকচ-হয়ে গেল জ্যোতিষী সত্যানন্দ আচার্যর। বৃহস্পতিবার বারাসত সি জি এম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর জামিন নাকচ করে ১৯ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন জামিনের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন জ্যোতিষী। দুপুরবেলায় পুলিশের কালো ভ্যান থেকে আদালতে নামার সময় সত্যানন্দকে তাই হাসিখুশি লাগছিল। কিন্তু জামিনের আবেদন নাকচ হতেই পরিবেশ বদলে যায়। নিরাশ হয়ে পড়েন তাঁকে নিতে আসা উদ্বিগ্ন ভক্তবৃন্দ, আত্মীয়পরিজন। জামিন নাকচ হয়ে যাওয়ায় তিনি ফেরত দিয়ে দেন বিভিন্ন বাড়ি থেকে নিয়ে আসা জিনিস। নেননি কোনও বাড়ি থেকে আসা নতুন পাঞ্জাবিও। সত্যানন্দ আচার্যর আসল নাম যে প্রদীপ বিশ্বাস তা এলাকার অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। বৃহস্পতিবার দৈনিক স্টেটসম্যানে এই