বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অলৌকিক নয়, লৌকিক (দ্বিতীয় খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভুতুড়ে চিকিৎসা
১৮৯

জাদুকর পি সি সরকার (জুনিয়র)। শ্রীসরকার জানিয়েছেন, কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ রোগীর দেহে লেগে থাকা রক্তের নমুনার ফরেনসিক পরীক্ষা করে দেখেছেন, এটি মানুষের রক্ত।

 দুই পত্রিকার দুই বিপরীত বক্তব্যে আমরা বিভ্রান্ত। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পত্রিকা দুটি এবং শ্রী ঘোষ ও শ্রী সরকারের সহযোগিতা কামনা করি।

প্রেসিডেন্সি কলেজের পক্ষে
আদৃতা মুখোপাধ্যায় (ইংরাজি বিভাগ)
তথাগত চট্টোপাধ্যায় (অর্থনীতি বিভাগ)
দেবদর্শন চক্রবর্তী (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ)

 আবারও বলি, এই জাতীয় বক্তব্যের প্রচুর চিঠি আমি পেয়েছি। এর উত্তরে অতি স্পষ্ট করে বক্তব্য রাখার একান্ত প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে জানাচ্ছি:

 ১। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর কলকাতায় আসা ফিলিপিনো ফেইথ হিলার বা ‘স্পেশাল ডাক্তার’-এর অস্ত্রোপচার করার সময় একবারই মাত্র রক্ত সংগ্রহ করেছিলেন।

 ২। রক্ত সংগ্রহ করেছিলেন সেই সময়কার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার সুবিমল দাশগুপ্ত।

 গু। আমার শরীরে অস্ত্রোপচারকালে বেরিয়ে আসা রক্তই সুবিমল দাশগুপ্ত সংগ্রহ করেছিলেন।

 ৪। রক্তের নমুনার ফরেনসিক পরীক্ষার ফল আগেই তুলে দিয়েছি। তাতে স্পষ্টতই জানানো হয়েছে রক্তের নমুনা ছিল পশুর।

 ৫। পি সি সরকার (জুনিয়র)-এর ‘আজকাল’ পত্রিকায় প্রকাশিত ফেইথ হিলার সম্পর্কিত লেখাটির বিষয়ে সুবিমল দাশগুপ্ত অবহিত হয়েছিলেন। এবং শ্রীসরকারের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং একই সঙ্গে আন্তরিকভাবে দুঃখিত হয়েছিলেন।

 প্রসঙ্গত জানাই, ফিলিপিন বেতার ও দূরদর্শন থেকে ফেইথ হিলার প্রসঙ্গে আমাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় ১৯৯০ সালে।

পরলোক থেকে আসা বিদেহী ডাক্তার

 ‘পরিবর্তন’ সাপ্তাহিক পত্রিকায় ১৯৮৪ সালের ১৮ জানুয়ারি সংখ্যায় যে প্রচ্ছদ কাহিনি প্রকাশিত হয়ে প্রচণ্ড আলোড়ন তুলেছিল সেটির শিরোনাম হল—পরলোক থেকে আসা বিদেহী ডাক্তার মৃত্যুপথযাত্রী রোগীকেও বাঁচিয়ে