বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অলৌকিক নয়, লৌকিক (দ্বিতীয় খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪৬
অলৌকিক নয় লৌকিক ২

ঘটনার অস্তিত্ব আছে।

 কাজী সাহেবের কথামতো মেয়েটির ‘কয়েকটি প্রকৃত তথ্য’ অবশ্যই দেব, উপরন্তু দেব মেয়েটির একটি ছবি।

 কাজী সাহেব যদি বাস্তবিকই চ্যালেঞ্জ গ্রহণে ইচ্ছুক হন, তবে মেয়েটির তথ্য ও ছবি কাজী সাহেবের হাতে তুলে দেওয়ার পর দেব ৬ মাস সময়, এই সময়ের মধ্যে অনিরুদ্ধের পছন্দমতো মেয়েটির সঙ্গে তিনি বিয়ে ঘটিয়ে দিতে পারলে আমি পরাজয় স্বীকার করে নেব। নতুবা ধরে নেব কাজীসাহেব পরাজিত।

প্রবীর ঘোষ

 আমার চিঠিটা আজ পর্যন্ত ‘আলোকপাত’-এর পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়নি। কাজী সাহেবের চ্যালেঞ্জ যে অনেককেই নাড়া দিয়েছিল তারই প্রমাণ পাই যখন দেখি ৮৮ ফেব্রুয়ারি ‘পরিবর্তন’-পত্রিকা আমার একটি সাক্ষাৎকার নিতে এসে কাজী সাহেবের প্রসঙ্গটি তোলেন। ৩০ মার্চ ৮৮ সংখ্যায় ‘পরিবর্তন’-এ দীর্ঘ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে কাজী সাহেবের প্রসঙ্গটুকু শুধু তুলে দিচ্ছি।

 “পরিবর্তন: ‘আলোকপাত' জানুয়ারি ’৮৮ সংখ্যায় বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ার জনৈক কাজী খোদা বক্স সিদ্দিকী আপনাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলেন, সম্পূর্ণ ধর্মীয় প্রক্রিয়ায় আপনার মনের মতো নারীকে আপনার জীবন সঙ্গিনী করতে পারেন। পরবর্তী দুটো সংখ্যা ‘আলোকপাত’-এ এমন কোনও খবর চোখ পড়ল না যাতে লেখা আছে আপনি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। আপনি কি তবে পিছু হটেছেন ধরে নেব?

 শ্রীঘোষ: ৭ জানুয়ারি একটি চিঠি দিয়ে ‘আলোকপাত’ সম্পাদককে জানাই, ‘আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম।’ এইটুকু বলতে পারি চিঠিটি এখনও প্রকাশিত হয়নি। চিঠির প্রতিলিপিটি আপনি দেখতে পারেন।”

 এখনও কাজী সাহেবের জন্য চ্যালেঞ্জ খোলাই রইল, তবে তিনি চ্যালেঞ্জ গ্রহণের সময়ের মধ্যে যদি ডা. অনিরুদ্ধ কর বিয়ে করে ফেলেন তবে আমার অন্য কোনও অবিবাহিত বন্ধুর পছন্দ মতো মেয়েকে বন্ধুটির জীবন সঙ্গিনী করতে হয়।

 অনিরুদ্ধ আমাকে এই প্রসঙ্গ জিজ্ঞেস করেছিলেন, “মেয়েটিকে পছন্দ করার পর কাজী সাহেব যদি সেই মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ করে আক্ষরিক অর্থে তাঁর হাতে-পায়ে ধরে আমার সঙ্গে বিয়ে ঘটিয়ে দেয়?”

 আমি বলেছিলাম, “আপনার শ্রীদেবী, রেখা, অথবা তার চেয়েও কোনো