বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অলৌকিক নয়, লৌকিক (দ্বিতীয় খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ছয়


ডাইনি ও আদিবাসী সমাজ


ডাইনি লাগা

‘বর্তিকা’ পত্রিকার ১৯৮৭ সালের জানুয়ারি-জুন সংখ্যার জন্য লেখার আমন্ত্রণ পেয়ে, অজিত সিং একটি লেখা পাঠান। লেখাটি প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটির সম্পাদক মহাশ্বেতা দেবী। অজিত সিং তাঁর একটি অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন। আপনাদের অবগতির জন্য লেখাটি এখানে তুলে দিলাম:

 আপনার দেওয়া পত্র পাই, আপনার পত্রিকার জন্য চাওয়া বিষয় নিম্নে লিখিয়া পাঠাইলাম।

 ডাইনি আজকাল কেউ বিশ্বাস করে না, কারণ বিজ্ঞানের যুগ, —কিন্তু আমি করি। এ বিশ্বাস আমার জন্মেছে গল্প শুনে নয়, ডাইনি শক্তি চোখে দেখে।

 চোখে কি দেখেছি—বলছি।

 আজ থেকে কিছুদিন আগেকার ঘটনা। আমি দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিলাম। বেশ জমানো তাস খেলা হচ্ছে। এমন সময় একজন এসে খবর দিল যে, ইন্দ্রের মাকে ডাইনি লেগেছে। সমাই খেলা ছেড়ে ইন্দ্রের বাড়ি গেল। গিয়ে দেখি ইন্দ্রের মা ভুল বকাবকি করছে। হঠাৎ এই অবস্থা দেখে কেউ যেন কূলকিনারা পাচ্ছে না। কারণ সবাই দেখছে ইন্দ্রের মা এখনি পুকুর থেকে স্নান করে গেছে।

 এর আগে তো এমন দেখিনি। যারা ডাইনি বিশ্বাস করে তারা বলছে হয়তো জ্বর হয়নি, যারা বিশ্বাস করে না তারা বলছে হয়তো জ্বর তুলেছে, কিন্তু জ্বর তুললে তো গায়ের তাপ পরিবর্তন হয়। ইন্দ্রের মাকে দেখে মনে হয় না যে তার জ্বর তুলতে পারে, কারণ সে তাকিয়ে চুপচাপ বসে আছে। এই অবস্থায় দেখে গ্রামে এক ওঝা আছে, তাকে ডাকা হলো। ওঝাকে দেখে ইন্দ্রের মা যেন অন্য

২৬১