টলমল বৈঠক বসাল। সেখানে ঠিক করল: চলতো যাই। মারাং বুরু বাই বলুক, গুণ নিশ্চয়ই শিখব তারপর রাত্রে জঙ্গলে গেল, আর কাক-শকুনের মত বিস্তর মিনতি মারাং বুরুকে করল: দাও বাবা, নিশ্চয়ই শিখিয়ে দাও, মেয়েরা আমাদের ভয়ানক জ্বালাচ্ছে।
সেইসব শুনে মারাং বুরু আশ্চর্য হয়ে তাদের বলিলেন: গুণতো তোমাদের দিয়ে দিয়েছি, কী চাইছ ঘন ঘন? তখন পুরুষেরা একসঙ্গে বলে উঠল: কৈ কখন দিলেন আমাদের? সেদিন থেকে আমরা তো আসি নাই। সে সব শুনে মারাং বুরু মহা চিন্তায় পড়লেন, বললেন: তোমাদের দিয়েছি না তো কী করেছি? এই যে তোমাদের দাগ দেখতো। পুরুষেরা নিজেদের নিজেদের দাগ দেখে বলল: দাগ যেন আমাদেরই কিন্তু আমরা তো দাগ কাটি নাই, কারা যেন আমাদের দাগ কেটেছে (ছবি এঁকেছে)।
তখন মারাং বুরু গালে হাত দিয়ে চিন্তা করতে লাগলেন, তারপর বুঝতে পারলেন যে, মেয়েরা আমাকে শুদ্ধ ছেলেমানুষ করে ফেলল। তারপর রেগে গিয়ে ঐ পুরুষদের বলেন: নাও, এখানে তাড়াতাড়ি দাগ কাট, ঐ বদমাইস মেয়েদের দেখে নিব। দাগ দিল, আর তিনি ওঝা আর ডান হবার সিদ্ধাই দিলেন, যেমন করেই হোক ডাইনিদের ধরে যেন সাজা দিতে পারে। তখন থেষক ডাইনি আর ওঝা কী জানদের ভীষণ শত্রুতা আছে। কিন্তু ওঝা আর জানেরা পারছে না; কেননা ডাইনিরা ওদের দেবতাদের সহজেই কাবু করছে। সেইজন্য সহজে ধরতে পারে না, অন্য লোকই খড়ি মাটিতে (খড়ি গুণা) উঠেছে, আর জানেরা আঁধা হয়ে অন্য লোকদের বলছে (দোষ দিচ্ছে)।
কতক লোক বলে যে, ডাইন, ওঝা আর জান সকলেই কামরু গুরুর কাছে শিখেছে। হ্যাঁ বহু পূর্বে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা তাঁর কাছে গিয়েছিলেন। ওঝা হওয়ার কথা সত্যই; কেননা ওঝা লোকেরা প্রথমেই তাঁর নাম দেন, তা না হলে ডাইন আর জানের কথা জানি না, কামরু গুরুর কাছে শিখেছে কি না জানি না। দোহায়টুকু তাঁর দোহায় দেয় না, সেইজন্য বলছি, তাঁর কাছে শিখে নাই।
ওঝাকো (ওঝারা)
ওঝারা সত্যি কামরু গুরুর কাছে শিখেছে বহু পূর্বে। তাঁর দেশ আর আমাদের দেশ লাগালাগি ছল, মুরুব্বিরা সেকথা আমাদের বলেছেন। ওঝাদের কাজ হল ছয়টি: (১) খড়ি দেখে, (২) চাল ছড়ায়, (৩) কামড়ায় কিংবা 'লুণ্ডা' করে,