রেজাউল হক গিয়েছিল গুনিনকে কিঞ্চিং বাজিয়ে দেখতে। এখন ১৯৯০ সালের অক্টোবরের শেষ। আশপাশের গাঁ-শহরের রাজনীতির বাবু মশাইরা কদিন আগেও বড়ই ব্যস্ত ছিলেন দুর্গোপুজো, কালীপুজো নিয়ে। কালীঠাকুরকে জলে ডুবিয়েই বাবুদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়েছে ধর্ম-উন্মাদনার হাত থেকে দেশ উদ্ধারে। জঙ্গলগ্রাম অবশ্য এসব নিয়ে তেমন মাথা ঘামায় না। ‘রাম-বাবরি’ র বিষের হলকা নানা বাঁক ঘুরে এখানে পৌঁছবার আগেই ঝিমিয়ে পড়েছে।
গুনিন কালীচরণ গুনে গেঁথে রেজাউল আর ভানুর আসার উদ্দেশ্য বের করে ফেলেছিলেন। বললেন, “তোমরা এসেছ কেন, জানি। তোমাদের গ্রামে একটা গণ্ডগোল বেধেছে ভাই...”
“উঁহু, সে জন্যে তো আসিনি। আর আমাদের গ্রামে গণ্ডগোলও কিছু বাধেনি।”
গুনিন ওদের এমন বেখাপ্পা কথায় চটলেন,
বললেন, “আমার ক্ষমতার সন্দো? তোমাদের ভালো হবে না। আমি যদি তোমার চারপাশে গণ্ডি কেটে দিই, সে গণ্ডি আমি না কাটান দিলে পেরোতে পারবে? পিঁড়িতে বসিয়ে মন্ত্র পড়ে দিলে পিঁড়ি পাছায় এমন সেঁটে যাবে, তখন বুঝবে সন্দো করার মজাটা।”