এছাড়াও অবশ্য জণ্ডিস হতে পারে। পিত্তনালীর পাথর, টিউমার, ক্যানসার হওয়ার জন্য অথবা অন্য কোন অংশে টিউমার হওয়ার জন্য পিত্তনালী বন্ধ হলে পিত্ত গন্তব্যস্থল ক্ষুদ্রান্ত্রে যেতে পারে না, ফলে রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং জণ্ডিস হয়।
আবার কোনও কারণে রক্তে লোহিত কণিকা অতিরিক্ত মাত্রায় ভাঙতে থাকলে হিমোগ্লোবিনের তুলনায় বেশি পরিমাণে বিলিরুবিন তৈরি হবে এবং জণ্ডিস হবে।
ভাইরাসজনিত কারণে জণ্ডিস না হয়ে অন্য কোনও কারণে জণ্ডিস হলে চিকিৎসার সাহায্যে মূল কারণটিকে ঠিক না করতে পারলে জণ্ডিস-মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাহায্য না নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে বিশ্রাম ও খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন মেনে জণ্ডিস থেকে মুক্ত হওয়া যায় বটে (তা সে জণ্ডিসের মালা পরুন, অথবা নাই পরুন), কিন্তু জণ্ডিসের মালার ভরসায় থাকলে ভাইরাসজনিত কারণে হওয়া জণ্ডিস থেকে মৃত্যুও হতে পারে। যকৃৎ স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে চিরকালের জন্য যেমন ভুগতে হতে পারে। তেমনই বিলিরুবিনের মস্তিষ্কে উপস্থিতি স্থায়ী স্নায়ুরোগ এমনকী, মৃত্যু হানতে পারে।
জণ্ডিস হলে চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে জানা প্রয়োজন জণ্ডিসের কারণ। পরবর্তী ধাপ হবে প্রতিকারের চেষ্টা।
জণ্ডিস ধোয়ানো
জণ্ডিস হলে রোগীরা যেমন মালা পড়তে দৌড়ান, তেমনি অনেকে দৌড়োন জণ্ডিস ধোয়াতে।
ওঝা বা গুনিন জণ্ডিস রোগীর শরীরে মন্ত্র পড়ে হাত বুলিয়ে জলে হাত ধুতেই মন্ত্রশক্তির প্রভাবে জল হলুদ রঙ ধারণ করতে থাকে। আপনি যদি ভেবে থাকেন ‘রামবাবু’ বা ‘শ্যামবাবু’ যে কেউ রোগীর গায়ে হাত বুলিয়ে জলে হাত ধুলেই জল জণ্ডিসের বিষ ধারণ করে হলুদ বর্ণ ধারণ করবে তবে ভুল করবেন। এমন একটা অদ্ভুত ঘটনা দেখার পর অনেক বিজ্ঞান পড়া মানুষ যদি মন্ত্র-তন্ত্র বা আদিবাসীদের তুক-তাক, ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাস স্থাপন করে ফেলেন, তবে অবাক হব না। আমাদের যুক্তিতে কোনও কিছুর ব্যাখ্যা খুঁজে না পেলে অহংবোধে ধরে নিই, এর কোনও ব্যাখ্যা থাকা সম্ভব নয়, অর্থাৎ