দশ
অলৌকিকে বিশ্বাস করলে কোনও দিনই সত্যানুসন্ধান সম্ভব নয়
৩ জুলাই ২০১৭, একজন শীর্ণ ৪৬/৪৭ বছরের ব্যক্তি আমার ফ্ল্যাটে এসে হাজির। সঙ্গে সঙ্গে এসেছে তাঁর স্ত্রী ও একটি কিশোর। ওই ব্যক্তি বললেন, বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর শেঠবাগানের বাড়িতে ভূতের উপদ্রব হচ্ছে। ফ্রিজ, টিভি, কাঠের আলমারি, আলনা, ঠাকুরের আসন—সব নিজে থেকেই দুমদাম করে পড়ে যাচ্ছে। মোবাইল সেট ছিটকে পড়ে ভেঙে গেল। কাঠের আলমারি, তাতে হঠাৎ আগুন ধরে গেল। একদিন স্ট্যাণ্ড ফ্যানটা ঠাকুরের আসনে ধুস করে করে পড়ে গেল। টিভিটা পড়ল আপনা থেকে এবং ভেঙে চুরমার।
ব্যক্তির নাম গৌতম কুণ্ডু। স্ত্রী নাম ধরে নিন মঞ্জু।
তিনজনের পরিবার। সরু একটা ফ্ল্যাটবাড়িতে তিনভাই একটা করে ঘর পেয়েছেন। ছেলে উজ্জ্বল দমদমে কুমার আশুতোষে পড়ে— ক্লাস টেন-এর ছাত্র। ওই ভৌতিক অত্যাচারে জর্জরিত তাঁরা চলে গেলেন দমদম ক্যাণ্টনমেণ্টে শ্বশুরবাড়িতে। সেখানে মাসখানেক নিরুপদ্রবে কাটল। তারপরে যে-কে সেই। দু-দিন জামাকাপড়ে আগুন লাগল। এদিক-ওদিক ছিটকে গেল জিনিসপত্র। অগত্যা ফিরে এলেন নিজের বাড়িতে। এইবার ছেলেকে একদিন টিউশন পড়াতে যাচ্ছেন সাইকেলে হঠাৎ সাইকেল কেঁপে উঠল। পিছনের কেরিয়ারে বসা ছেলে বলে উঠল, ঠিকমতো সাইকেলটা চালাতে। কারণ, ছেলের মনে হচ্ছে কে যেন সাইকেলটা ধাক্কা মারছে। অগত্যা আর না এগিয়ে বাড়িতে ফিরতে হল দুজনকে।
৪৩৩
অলৌকিক নয় লৌকিক/২য়—২৮