আমার পূর্বপরিচিত দক্ষিণ কলকাতার এক স্কুলের শিক্ষক ফোনে জানালেন তাঁর বউদি একটা ভূতের উপদ্রবে প্রচণ্ড টেনশনে আছেন। আপনি যদি একটু সমস্যাটা দেখেন। বললাম, ‘কী হয়েছে একটু বলুন তো। বউদিকে তাঁর ভৌতিক ঘটনার কেস হিস্ট্রি ডিটেলে লিখে আমাকে পাঠাতে বলুন।’
বউদির সংক্ষিপ্ত চিঠি দেখে জানতে পারলাম, তিনি রাতে ঘুমোতে গেলেই অনুভব করেন খাটটা খুব জোরে জোরে দুলছে। তাই ঘুমই হয় না।
ফোন নাম্বার দেওয়া ছিল। ফোন করে বললাম, ‘আপনি আমাকে এই নাম্বারে ফোন করুন! আমার অনেক কথা আছে।’ উনি আমার মোবাইলে ফোন করলেন। জানলাম, উনি নিজের বাড়িতেই থাকেন। দোতলা বাড়ি। বাড়ির একতলাটা ফাঁকা। দোতলার একটা ঘরে বর আর একটা ঘরে বউ শোয়। বউটির বয়স ৪৮। বরের বয়স পঞ্চান্ন। সংসারে আর ছিলেন এক ভাশুর। ভাশুরের বয়স বেঁচে থাকলে হত ছাপ্পান্ন। মাস আটেক আগে মারা গেছেন। মহিলা ভাগুরের খাটেই শোন।
বললাম, ‘আপনি তো এখনও যথেষ্ট সুন্দরী।' উত্তরে বললেন, ‘তাই তো লোকে বলে।’
—‘আপনার ভাশুরও ছিলেন সুদর্শন। এবং আপনার বর তেমন বড় কিছু চাকরি করেন না।’
বউটি শুনে অবাক কণ্ঠস্বরে বললেন, ‘হ্যাঁ, একদম ঠিক ঠিক বলেছেন।’ বললাম, ‘আপনি আমার প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিলে আমি সমস্যা মিটিয়ে দেব। সঠিক উত্তর দেবেন তো?’
বললেন, ‘কাউকে কিছু জানাবেন না তো।’ বললাম, ‘নিশ্চিন্তে থাকুন কাউকে জানাব না। আপনার নাম, পরিচয় সমস্ত গোপন থাকবে।’
মহিলা বললেন, ‘হ্যাঁ, প্রশ্ন করুন।’ বললাম, ‘আপনার সঙ্গে বরের সেক্স অ্যাডজাস্টমেণ্ট কেমন ছিল? সত্যি বললেন।
বললেন, ‘মনের মিল ততটা ছিল না বলে শরীরের উত্তাপও অনুভব করতাম না।’
—‘ভাশুর বিয়ে করেননি?’
—‘না।’
—‘ভাশুর তো আপনাকে নিশ্চয় ভালোবাসতেন। আপনিও ভাশুরকে