পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাধুসন্তদের অলৌকিক ক্ষমতা
১১৩

পড়তে থাকে। মে-জুনে ডাব-বাবা পত্র-পত্রিকার শিরােনামে এলেন। প্রতিদিন লাখাে লাখাে রােগী দূর-দূরান্ত থেকে এসে হাজির হতে থাকে ডাব-বাবার কৃপায় রােগমুক্তির আশায়।

 দক্ষিণ ২৪ পরগনার ছােট স্টেশন গােবিন্দপুর। সেখান থেকে তিন কিলােমিটারের মতাে পথ বড়গাছিয়া। এখানে বিদ্যুতের খুঁটি চোখে পড়ে না। এমনই এক ছােট্ট গ্রামে গাছের ছায়ায় চাটাইবেড়া ঘিরে মাথায় টালির চাল নিয়ে গড়ে উঠেছিল বনবিবির মন্দির। জানুয়ারির শুরুতে সুরথ মণ্ডল নাকি বনবিবির কাছ থেকে স্বপ্নে ওষুধ পায়। সুরথ ধর্মে রােমান ক্যাথলিক। তবু বাংলার হাওয়ায় হিন্দু পরিবেশে থাকতে থাকতে সুরথদের পরিবারের মেয়েদের কপালে ও সিঁথিতে উঠেছে সিদুর। সুরথের কর্মস্থল কলকাতার বসুমতী পত্রিকা। পত্রিকার ছাপাখানায় কাজের পাশাপাশি গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারও। সুরথ ভক্তদের ডাবের জলে বনবিবির চরণামৃত মিশিয়ে দিতেন। সেই ডাবের জল খেয়েই নাকি রােগীরা সব রােগ-বালাই

নতুন ডাব বাবা

থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বনবিবির প্রতিষ্ঠার দিন থেকেই পুজোও চলছিল। আর চরণামৃতও ভক্তরাও পান করেছিলেন। এতদিন কেন বনবিবির চরণামৃতে রােগ