আগুনের স্পর্শ পাচ্ছে। না, কারও পায়েই ফোসকা পড়ছে না।
শ্রীবসুর এক সহযোগী দ্রুত আগুনের ওপর দিয়ে হাঁটার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, পারেননি। পায়ে ফোসকা পড়েছিল। শ্রীবসুর আর এক সহযোগী ভক্তদের মতো স্নান করে ভেজা শরীরে, ভেজা পায়ে জ্বলন্ত আগুনের ওপর দিয়ে দ্রুত হেঁটে যান। তার পায়ে কোনও রকম ফোসকা পড়েনি। তার দুটি কারণ হলো (১) ভেজা পায়ে কিছু নরম মাটির প্রলেপ পড়েছিল। (২) দ্রুত পদক্ষেপের দরুন মুহূর্তের জন্য পা আগুনের স্পর্শ পেয়েছিল।
১৯৯৩-তে বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে আন্ত্রিকে গণমৃত্যুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
উজ্জয়িনী জেলার তাজপুর গ্রামেও প্রতি বছর অলৌকিক আগুনে-হাঁটা অনুষ্ঠিত হয়। তাজপুরের এই আগুনে-হাঁটা ধর্মানুষ্ঠানে যারা হাঁটে তারা নাকি ভৈরবের উপাসক। হাঁটতে গিয়ে কারো পা পুড়লে ধরে নেওয়া হয়, অপবিত্র মনের দরুনই এমনটা হয়েছে।
বুলগেরিয়ার এক সমুদ্রবন্দর বার্গাস (Burgus)। বার্গাসের ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রাম পানিতচারো (Panitcharewo)। এই গ্রামের নেস্টিনারি (Nestinari) নামে একটি সম্প্রদায় প্রতি পছর ৩ জুন বাইজানটাইন সম্রাট কনস্টানটাইন ও সাম্রাজ্ঞী হেলেনাকে স্মরণ করে এক আগুনে-হাঁটা উৎসব পালন করে। জনসমাগমও হয় প্রচুর।
জাপান, মালয়, ফিজি, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যাণ্ড ও স্পেনেও আগুনে-হাঁটা বা অগ্নি-উৎসবের প্রচলন রয়েছে।