অ্যাজমা, কোলাইটিস, ইমনোটেন্সি, ফ্রিজিডিটি, হাইপোকনড্রিয়া এবং মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলি reflex বা প্রতিফলন বিশৃঙ্খলায় (সাইকো-সোমাটিক) হিপটনিক-সাজেশনের সাহায্যে খুবই ভাল ফল পাওয়া যায়। উন্মাদরোগের মধ্যে স্কিজোফ্রিনিয়া এবং প্যারানইয়াতে হিপনটিক-সাজেশনে ভালই ফল পাওয়া যায়। অবশ্যই সেই সঙ্গে ওষুধও দিতে হয়। এছাড়াও যে কোন রোগেই সাহায্যকারী চিকিৎসা হিসেবে হিপনটিক-সাজেশন দেওয়া যেতে পারে।
সম্মোহনের সাহায্যে সম্মোহনকারী এমন অনেক ঘটনাই ঘটাতে পারেন যেগুলি শুনলে প্রাথমিকভাবে অসম্ভব বা অবাস্তব বলে মনে হয়।
সম্মোহনকারী সম্মোহিতকে যদি ‘সাজেশন’ দিতে থাকেন, এবার তোমার ডান হাতের কজিতে একটা গনগনে লোহা খুব সামান্য সময়ের জন্য ছোঁয়াব। লোহাটা আগুনে পুড়ে টকটকে লাল হয়ে রয়েছে, টকটকে লাল গরম লোহাটা এবার তোমার ডান কজিতে ঠেকানো হবে। ফলে একটা ফোসকা পড়বে। ভয় নেই, শুধু একটা ফোসকা পড়বে এই সাজেশনের সঙ্গে সঙ্গে ডান হাতের কজিতে ঠাণ্ডা লোহা ঠেকালেও দেখা যাবে যে ওখানে Second degree burn সৃষ্টি হয়ে ফোসকা পড়েছে।
আধুনিক শারীরবিজ্ঞানে শিক্ষিত অনেকের কাছেও আমার কথাগুলো একান্তই অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। কারণ, শারীরবিজ্ঞানে বলে, শরীরের কোন স্থানে প্রচণ্ড উত্তাপ লাগলে সেখানে অনেকগুলো আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বহু কোষ ফেটে যায়। কোষগুলোর ভেতরের রস বেরিয়ে আসে। এই কোষগুলোর রসই ফোসকায় জমা রসের প্রধান অংশ। শারীরবিজ্ঞানে এই ফোসকা পড়ার সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যোগাযোগ না থাকলেও ফোসকা পড়ার মূহুর্ত থেকে পরবর্তী পর্যায়গুলোতে ‘Autonomus’ (অটোনোমাস) স্নায়ুতন্ত্রের কিছু প্রভাব দেখা যায়, যা শরীরকে দুর্বল করে বা মানসিক আঘাত (shock) দেয় কিংবা peripheral circulatory failure ইত্যাদির ক্ষেত্রে কাজ করে।
‘Autonomus nervous system’ (অটোনোমাস নার্ভাস সিস্টেম) সম্পর্কে নতুন ধারণা না থাকার দরুন এবং উচ্চ মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাবের দরুন অনেকের কাছেই আমার কথাগুলো উদ্ভট ও অবাস্তব মনে হতে পারে। এই বিষয়ে অবগতির জন্য জানাই, ১৯২৭ সালে বহু চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের সামনে V. Finne শুধুমাত্র হিপনোটিক-সাজেশনের দ্বারা একজন সম্মোহিতের শরীরে ফোসকা ফেলে দেখান। তারপর আজ পর্যন্ত বহুবার প্রয়োগ হয়েছে।
একজন মনযোগ দিয়ে ‘সাজেশন’ শুনলে তার পাঁচটি কর্মইন্দ্রিয়-ই নিয়ন্ত্রণ