হচ্ছে আমরা যেন.....” টেলর তার-বার্তা পাঠানো সম্পূর্ণ করতে পারেননি। রহস্যজনকভাবে বার্তা প্রেরণ বন্ধ হয়ে গেল। ওই বিমানগুলোর খোঁজে বিমানচালক সমেত তেরোজনের উদ্ধারকারী দল নিয়ে একটি বিমান যাত্রা করে। কিন্তু আগের পাঁচটি নিখোঁজ বিমানের মত এই উদ্ধারকারী বিমানটিও আমেরিকান সেনাবাহিনীকে হতবাক করে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ ছটি বিমান ও সাতাশজন যাত্রীকে খুঁজে বের করতে মার্কিন নৌ-বাহিনী ও বিমানবাহিনী ব্যাপক অনুসন্ধান চালায়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিখোঁজ বিমানগুলোর কোনও হদিশ পায়নি।
এতো গেল বইয়ে কী প্রকাশিত হয়েছিল সে-কথা। এবার দেখা যাক অনুসন্ধানকারীরা বাস্তবে কী ঘটেছিল বলে জানতে পেরেছিলেন।
বিমানগুলো পরিষ্কার দিনের আলোয় আকাশে উড়ে অদৃশ্য হয়নি। সে-দিন আবহাওয়া ছিল খারাপ। সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আসার পরও তারা আকাশে ছিল। ওই সময় সামুদ্রিক ঝড় ওঠে। দলনেতা টেলর ছাড়া সকলেই শিক্ষার্থী। টেলর তাঁর অবস্থান নির্ণয়ে ভুল করেন। সেটা অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়। ফ্লোরিডা কী ও বাহামা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে বড় বেশি সাদৃশ্য থাকার জন্য এর আগেও অনেক বৈমানিকই খারাপ আবহাওয়ায় ওই ধরনের ভুল করেছেন। টেলরও বাহামাকে ফ্লোরিডা মনে করায় উত্তর-পূর্বে বিমানবন্দর মনে করে বিমানগুলোকে সেই দিকে চালাতে নির্দেশ দেন। বাহামার উত্তর-পূর্বে আটলাণ্টিক মহাসাগর। অবশেষে আটলাণ্টিকের উপর দিয়ে যেতে যেতে বিমানগুলো এক সময় জ্বালানির অভাবে সমুদ্রে আছড়ে পড়ে। এর বেশি আর কিছুই ঘটেনি। পলিমোড প্রোগ্রামের অনুসন্ধানকারীদের অন্তত এইমত।
টেলরের পাঠান বার্তা সরকারি লগ-বুকে লেখা আছে। সেটাতে দেখা যায় টেলর আদৌ অলৌকিক কোনও দৃশ্যের বর্ণনা দেননি। বরং বলেছেন, “আমি আমার অবস্থান জানি...ভুল করে বাহামা পেরিয়ে আটলাণ্টিক মহাসাগরে এসে পড়েছি...”
অনুসন্ধানকারীরা গোটা ঘটনাটার মধ্যে কোনও অলৌকিক রহস্যের খোঁজ পাননি। এটা ছিল নেহাৎই দুর্ঘটনা।
বার্লিৎজ্ বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেলের রহস্যের কথা লিখতে গিয়ে তার আর একটি বই ‘উইদাউট এ ট্রেস’-এ লিখেছেন, স্যাটেলাইট এম. ও. এ. এ.-কে পাঠানো হয়েছিল মেঘ সম্বন্ধে বেতার সংকেত পাঠানোর জন্যে। কিন্তু, বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেলের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় কোনও রহস্যময় কারণে বেতার সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। জায়গাটা অতিক্রম করার পর আবার বার্তা প্রেরণ চালু হয়।
অনুসন্ধানকারীরা যে সত্য উদঘাটন করেছিলেন, তা হল, কৃত্রিম উপগ্রহ এম. ও. এ. এ. মেঘ বিষয়ক যে সংকেত পেত সে-গুলো টেপে ধরে রাখা হতো এবং