বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
Telepathy (দূরচিন্তা)
২২৯

 ছবিটির কোথাও কুকুর নেই। এলিসন তাই নীরব।

 ও-প্রান্ত নিজের ভুল বুঝতে পেরে বলল, “দেখুন তো ঘরে কোনও কুকুরের ছবি আছে কি না?”

 না, অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ঘরে কোনও কুকুরের ছবি দেখা গেল না। এলিসন তাঁর প্যারাসাইকোলজিকে এমনভাবে মার খেতে দেখে আবার নতুন উদ্যমে শুরু করলেন, “লম্বা কোনও কিছুর কথা বলছিলে না, তুমি?”

 ও-প্রান্ত বলল, “একটা ছবি আমি খুব স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাচ্ছি।”

 —“তার কথাই বলো।”

 “একটা চওড়া মতন লম্বা বস্তু, উজ্জ্বল রঙের।”

 —“বাঃ, খুব ভাল বলছ। বলে যাও।”

 “টেবিল-ফুল—”

 এলিসন কোনও উত্তর দিলেন না।

 নিউইয়র্কের অতীন্দ্রিয়-ক্ষমতাবানেরও গলা নীরব হলো। মিনিট পাঁচেক পরে নিউইয়র্ক থেকে ভেসে এলো আর একটি কণ্ঠস্বর। এটি ‘নিউ সায়েনটিস্ট’ পত্রিকার সিডনি ইয়াং-এর।

 ইয়াং বললেন, “ও টেলিপ্যাথির সাহায্য নিয়ে একটা ছবি আঁকছে। ছবিটা গাড়ির বা শুয়োরছানার।

 এলিসন উৎসাহ দিলেন, “ওকে চালিয়ে যেতে বলুন।”

 —ছবিটা এখন দাঁড়িয়েছে একটা কাঠের খেলনার মতো। “গাড়ি বা শুয়োরছানার মতো ওপরটা। নীচে চাকা বা পা নেই, গোল মতো।”

 —“ও অনেকটা সফল হয়েছে। আপনি ছবি দেখে বলে যেতে থাকুন।”

 —“ছবিটা এবার থালার আকার নিয়েছে। সেটার দিকে হাতির পায়ের মতো কিছু একটা নেমে আসছে। এবার মনে হচ্ছে একটা স্তনের মতো কিছু।”

 ছবি আঁকা শেষ হতে অতীন্দ্রিয় ক্ষমতার মানুষটি নিজেই ফোন ধরলেন। জানতে চাইলেন, “কীসের ছবি তোমরা দেখছ?”

 —“এটা পুলিশের গাড়ির ছবি।” এলিসন জানালেন।

 —“গাড়ি-গাড়ি। এই ছবিটাই তো কতবার এঁকেছি। একটা চকচকে লম্বা গাড়ি।”

 এলিসন উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠলেন, “ঠিক ধরেছ, একটা চকচকে লম্বা গাড়ি।”

 ও-প্রান্ত থেকেও উচ্ছ্বাস ভেসে এলো—“আমি এত দূরে থেকেও ছবিটা দেখতে সফল হয়েছি। সত্যিই আমি খুশি।”

 এতেই পরামনোবিদ অধ্যাপক এলিসন পরামনোবিদ্যার ‘অভাবনীয় সাফল্য খুঁজে পেলেন।’