পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৫৫

অধ্যায়: তেরো


Clairvoyance (অতীন্দ্রিয় অনুভূতি)

পরামনোবিদ্‌দের মতে ক্লেয়ারভয়ান্স clairvoyance শক্তির সাহায্যে বহু দূরের ঘটনা দেখা ও শোনা সম্ভব। (বোঝার সুবিধের জন্য উদাহরণ স্বরূপ একটা ঘটনার উল্লেখ করছি।) আমাদের কলকাতার এক প্রবীণ সাংবাদিক এক বাঙালি তান্ত্রিকের পরম বিশ্বাসী ভক্ত। যে সময়ের ঘটনা বলছি তান্ত্রিকবাবা তখন বেঁচে। সাংবাদিক ভদ্রলোক বিদেশে একবার অসুস্থ হয়ে কয়েকদিন হাসপাতালে ছিলেন। ফিরে এসে ঘটনাটা তান্ত্রিকবাবাকে বলতে তিনি বলেছিলেন, “ওরে, সে আমি দেখেছি। তোর ঘরে যে নার্স মেয়েটি ফুল রেখে যেত, সে বড় ভালো রে।”

 তান্ত্রিকবাবা ওই এক কথাতে বাজিমাত করে দিয়েছিলেন। প্রবীণ সাংবাদিক সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বাস করে ফেললেন তান্ত্রিকবাবার অতীন্দ্রিয় শক্তি (Clairvoyance) আছে।

 অনেক সভ্যদেশের হাসপাতালের কেবিনে ফুলদানে ফুল থাকে, এটুকু জানা থাকলেই যে এই ধরনের কথা বলা যায় অন্ধবিশ্বাসীকে তাকে বোঝাবে?

সাধু-সন্ন্যাসীর অতীন্দ্রিয় দৃষ্টি

 স্টেট ব্যাঙ্ক কলকাতা মেইন ব্রাঞ্চের এক ডেপুটি ম্যানেজার পারিবারিক শান্তির আশায় বিখ্যাত তান্ত্রিক পাগলাবাবা (বারাণসী)-র দ্বারস্থ হন। তার মতে এই তান্ত্রিক যে কোনও কিছু অতীন্দ্রিয় ক্ষমতার দ্বারা দেখতে পান। ধরুন, একজন কেউ জিজ্ঞেস করল, “বলুন তো আমার বারান্দার টবে কী ফুলের গাছ লাগিয়েছি?” অথবা, “আমার স্ত্রীকে কেমন দেখতে বলুন তো?” অতীন্দ্রিয় অনুভূতির সাহায্যে তান্ত্রিক প্রশ্নকর্তার বাগানের ফুলের টব বা তাঁর স্ত্রীকে দেখতে পেতেন এবং লিখে ঠিক ঠিক উত্তর দিয়ে দিতেন। ডেপুটি ম্যানেজারের এই দেখাকে আমি অবিশ্বাস করিনি। কারণ বর্তমানে পশ্চিমবাংলাতেই পাঁচজন তান্ত্রিকের খোঁজ পেয়েছি, যাঁরা এই ধরনের নানারকম প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম। প্রশ্নগুলো অনেক সময় অদ্ভুত ধরনেরও হতে পারে, যেমন, “বলুন তো আমার বাড়িতে ক’টা বেড়াল আছে?” বা “আমার পড়ার ঘরে কী ধরনের ফ্যান আছে দেখতে পাচ্ছেন? টেবিল ফ্যান না সিলিং ফ্যান?”