করে দু’বগলের তলায় রাখুন। এবার হাত দুটো বুকের পাশে চেপে রাখুন। এই চাপে বগলের তলার অ্যাক্সিলারি ধমনীতে চাপ পড়বে। বাহুতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। কব্জির রেডিয়াল ধমনীতে রক্ত চলাচল স্বভাবতই বন্ধ হবে। অর্থাৎ নাড়ির স্পন্দন বন্ধ হবে।
এই হলো যোগ সমাধিতে নাড়ি বন্ধ করার মোদ্দা কৌশল।
স্বাস্থ্যবান কোনও মানুষ বগলের পেশি ফুলিয়ে হাত দুটি চেপে অ্যাক্সিলারি ধমনীর রক্ত চলাচল বন্ধ করতে পারেন।
দুটি ক্ষেত্রেই দীর্ঘ সময়ের জন্য নাড়ি বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। দু’হাতের রক্ত চলাচল দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ রাখলে তা হাতের বিপদ ঘটাবে।

বালক ব্রহ্মচারীর মৃত্যুর পর ‘নির্বিকল্প সমাধি’র বুজরুকি ফাঁস করতে সুখচর আশ্রমে
যুক্তিবাদী সমিতির সদস্যরা নাড়ি বন্ধ করে দেখাচ্ছেন ০৫.০৬.১৯৯৩
যুক্তিবাদী আন্দোলনের শুরুতে নাড়ির গতি স্তব্ধ করে দেখাতাম আমি। আজ দেখান আমাদের সমিতির কয়েক’শ সদস্য-সদস্যা। দেখান আরও অনেক বিজ্ঞান আন্দোলনকর্মী। শুরু থেকে লক্ষ্য করেছি, আমি যখন নাড়ি বন্ধ করতাম, তখন সাধারণ মানুষরা তেমন অবাক হতেন না। অবাক হতেন বড় বড় চিকিৎসকরা। কারণ সাধারণ মানুষরা ভাবেন যোগ যাঁরা জানেন, তারা নাড়ি বন্ধ করতে-ই পারেন। এর মধ্যে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। নতুন কিছুও নয়।
চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের কাছে যখন দেখিয়েছি, তখন তাঁদের বিস্ময়ের ঘোর লেগে যেত। কারণ, নাড়ির স্পন্দন বন্ধ করে একজন মানুষের স্বাভাবিক ভাবে