পেয়েছি—(১) স্বামী অভেদানন্দ তাঁর ‘মরণের পারে’-তে আত্মার অস্তিত্বের কথা বলেছেন, তাঁর বক্তব্য কী তবে মিথ্যে? (২) ‘মরণের পারে’-তে আত্মার যে ছবিগুলো প্রকাশিত হয়েছে তা কী তবে মিথ্যে? (৩) স্বামী অভেদানন্দ তাঁর বইতে এক রকম যন্ত্রের কথা বলেছেন, যার সাহায্যে আত্মার ওজন নেওয়াও সম্ভব হয়েছে এরপরও কি বিজ্ঞান আত্মার অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে পারে? (৪) মৃত্যুর পর দেহ থেকে বেরিয়ে আসা কুয়াশার মতো আত্মার অস্তিত্ব নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করেছেন তাঁরা এই পদার্থটির নাম দিয়েছেন, ‘এক্টোপ্লাজম’ বা ‘সুক্ষ্ম-বহিঃসত্তা’। বিজ্ঞান যেখানে আত্মার অস্তিত্বকে বা ‘এক্টোপ্লাজম’কে স্বীকার করে নিচ্ছে, সেখানে আপনি আত্মার অস্তিত্বকে না মানার পিছনে কী যুক্তি দেবেন?
অহরহ এই ধরনের বহু প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে এবং হচ্ছে আমাকে। স্বামী অভেদানন্দ তাঁর বইতে ঠিক কী বলেছেন, তাঁর মতামত কতখানি বিজ্ঞানগ্রাহ্য, এবং ‘বিজ্ঞান মেনে নিয়েছে' বলে স্বামী অভেদানন্দ যা দাবি করেছেন, তা কতখানি সত্যি—এ বিষয়ে আলোকপাত করা খুবই প্রয়োজন, কারণ, (১) দীর্ঘ বছর ধরে বই দুটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। (২) লক্ষ লক্ষ পাঠক-পাঠিকা স্বামী