২০০৫-এর ফেব্রুয়ারিতে বি বি সি রেডিও এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিল আমার ও যুক্তিবাদী সমিতির সভাপতি সুমিত্রা পদ্মনাভনের। সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ইরেনা লুটো (Irena Luto)। সঙ্গী ছিলেন ‘বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস’-এর প্রডিউসর নীল ট্রেভিক (Neil Treivik)। ইরেনা ও নীল দু’জনের-ই মনে হয়েছিল, গত শতকের নয়ের দশকে সমাজতন্ত্রের পতন সাম্যকামীদের হতাশ করেছিল। গত দু-এক বছরে একটা নতুন চিন্তা ছড়িয়ে পড়েছে। সশস্ত্র সংগ্রামকে বাইপাস (এড়িয়ে) করে ‘নব্য সমাজতন্ত্র’ (Neo-Socilism) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ভারত-নেপাল-ভুটান-বাংলাদেশ থেকে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে পর্যন্ত। স্বয়ম্ভর গ্রাম, কমিউন, সমবায় এসবেরই ‘থিংকট্যাংক’ বা ‘চিন্তার উৎপত্তিস্থল’ যুক্তিবাদী সমিতির নেতা।
পৃথিবীর জনপ্রিয়তম ওয়েবসাইট আমাদের
Yahoo, Google, Rediffmail, AOL হলো পৃথিবীর জনপ্রিয় সমস্ত ‘সার্চ ইঞ্জিন’। এইসব ‘সার্চ ইঞ্জিন’ ‘সার্চ’ করে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট দেখতে পারেন। ‘rationalist’ অথবা ‘rationalism’ শব্দ দিয়ে সার্চ করলে তালিকার প্রথমেই উঠে আসবে আমাদের সমিতির ওয়েবসাইট। অর্থাৎ আমাদের ওয়েবসাইটের ‘র্যাঙ্কিং’ ১ম। এই র্যাঙ্কিং নির্ধারিত হয় ‘পেজর্যাঙ্ক’ পদ্ধতিতে, যা নির্ভর করে সাইটের জনপ্রিয়তার উপর। যত বেশি মানুষ সাইট দেখবেন, সাইট তত ভালো ‘র্যাঙ্ক’ পাবে। অনুরোধ—সুযোগ থাকলে আমাদের সাইট www.srai.org দেখুন।
কেন আমরা এক নম্বরে? জানতে গেলে দেখতেই হবে। এদেশের বহু মিডিয়া ‘ব্ল্যাক-আউট’ করার পরও আমরাই পৃথিবীর জনপ্রিয়তম ওয়েবসাইট। আমরাই ভারতকে প্রথম এমন দুর্লভ সম্মান এনে দিয়েছি।
জয় নিশ্চিত করতে শক্তিশালী ‘নেপথ্যবাহিনী’ জরুরি
মাদার টেরিজাকে ‘সেণ্টহুড’ দেবার বিশাল তোড়জোড় ব্যর্থ হয়েছিল। লক্ষ কোটি ডলার-পাউণ্ড-ইউরো উড়লো। প্রচার মাধ্যমগুলো বিপুল পরিমাণে নিউজপ্রিণ্ট আর ক্যাসেট খরচ করলো। এক বছর ধরে রোমে ‘মাদার’-এর স্মারক বিক্রি হল। শেষ পর্যন্ত এলো মাদারকে সম্মান জানানোর দিন; ১৯ অক্টোবর, রবিবার, ২০০৩। কী আশ্চর্য! পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখলো, মাদার-কে ‘সেণ্ট’ ঘোষণা না করে ‘ব্লেসেড’ বলে ঘোষণা করলেন পোপ দ্বিতীয় জল পল।
এ এক অভাবনীয় ‘ইন্দ্র পতন’। পোপের আন্তরিক ইচ্ছে, সর্বাঙ্গীণ চেষ্টা এমন ভাবে ব্যর্থ হলো।
হলো। তার কারণ—‘বিবিসি’ থেকে ‘টাইম’ হাজার হাজার মিডিয়া আমাদের সমিতির সত্যানুসন্ধান তুলে ধরে ভ্যাটিকান সিটির উপর দিনের পর দিন চাপ সৃষ্টি করে গেছে। শেষ পর্যন্ত পোপের পরামর্শদাতা ‘কার্ডিনাল’দের বেশির ভাগই