পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩২২
অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড)
৩২২

৩২২ অলৌকিক নয়, লৌকিক (প্রথম খণ্ড) মনােসমীক্ষণের অন্যতম পথিকৃৎ। ডাঃ বসু ঘটনাটির কারণ বিশ্লেষণের জন্য বালিকাটিকে পরপর কদিন পরীক্ষা ও মনঃসমীক্ষা করেন। | একদিনের ঘটনা ডাঃ বসু মেয়েটিদের বৈঠকখানায় বসে আছেন। হঠাৎই চোখে পড়ল ঐ ঘরের আলমারিতে কতকগুলাে পুরনাে বাঁধানাে সাময়িকী ও পত্রিকার ওপর। আলমারি খােলা। সময় কাটাতে, নিছকই খেয়ালের বশে বাঁধানাে সাময়িকীগুলাে নাড়াচাড়া করতে লাগলেন, পাতা উলটাতে লাগলেন। একটা সাময়িকীর একটা পৃষ্ঠায় এসে ডাঃ বসু উত্তেজিত হয়ে উঠলেন। ঐ পৃষ্ঠাতেই জনৈক গ্রামীণ সংবাদদাতা একটি জলে ডােবার ঘটনা জানিয়েছেন। গ্রামের নাম, মৃতের নাম ও তার বাবার নাম ও বিস্তৃত ঘটনাটি পাঠ করতে করতে পনের বছরের পুরনাে। মেয়েটি যে ডাঃ বসুর মতােই কোনও এক অবসর সময়ে বাঁধানাে বইগুলাে টেনে নিয়ে পড়তে পড়তে এই ঘটনাও পড়ে ফেলেছিল এতে আর কোনও সন্দেহ নেই। তারপর ঐ ঘটনাটি নিয়ে ক্রমাগত ভাবতে ভাবতে অবচেতন মনে সেই জলে ডোেবা মানুষটির সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করে নিয়েছিল। ডাঃ বসু মেয়েটিকে ওই পৃষ্ঠাটি দেখানাের পর মেয়েটির স্মৃতি ধীরে ধীরে ফিরে আসে। ও জানায় লেখাটি আগে পড়েছিল। তবে লেখাটি পড়ার কথা ভুলে গিয়েছিল। মনে ছিল শুধু ঘটনাটি। তাই এতদিন অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল বলেছিল- জলে ডােবার ঘটনাটি শােনেনি। মেয়েটি ডাঃ বসুর আকস্মিকভাবে পাওয়া যােগসূত্রের কল্যাণে ‘জাতিস্মর’ নামক মানসিক রােগী হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যায়। | তবে স্বভাবতই সবসময় এমন আকস্মিক যােগাযােগ অনুসন্ধানীদের নাও জুটতে পারে। এই না জোটার অর্থ এই নয় যে, জাতিস্মরের বাস্তব অস্তিত্ব সম্ভব। (জাতিস্মর নিয়ে আরও বহু কেস-হিষ্ট্রি’ ও সেসব নিয়ে বিস্তৃত অনুসন্ধান পাবেন ‘অলৌকিক নয়, লৌকিক’ গ্রন্থের ৪র্থ খণ্ডে)