পাতা:অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড) - প্রবীর ঘোষ.pdf/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩৩০
অলৌকিক নয় লৌকিক (প্রথম খণ্ড)
৩৩০

৩৩০ অলৌকিক নয়, লৌকিক (প্রথম খণ্ড) খেলাগুলাে দেখাচ্ছেন। কৌশলগুলাে ধরতে না পারলেও পুরাে ব্যাপারটাই ধাপ্পা, অতএব অলৌকিক মিডিয়ামদের সঙ্গে প্রতিযােগিতায় দুই জাদুকরকে বছর দুয়েকের মধ্যে পিছু হঠতে হলাে। মিডিয়ামদের অলৌকিক কাণ্ড-কারখানা দেখতে ভিড় বাড়তে লাগলেও দুই জাদুকরের ভূতহীন ভূতুড়ে খেলায় দর্শক কমতে লাগল। | বুজরুকির বিরুদ্ধে এই সংগ্রাম তাদের প্রচণ্ড বিপদের মুখােমুখি দাঁড় করিয়েছিল। একটুর জনা বেঁচে গিয়েছিলেন এই দুই জাদুকর ও ম্যাসকেলিনের নবপরিণীতা বধু। লন্ডনের বিখ্যাত কৃস্টাল প্যালেস’ থিয়েটারে কয়েক সপ্তাহব্যাপী জাদুর খেলা দেখাবার চুক্তিতে সই করলেন ম্যাসকেলিন। কৃষ্টাল প্যালেসে প্রদর্শনীর আগে একটা মফঃস্বল শহরে জাদু প্রদর্শনী চলছিল। সেই শহরের গির্জার পাদ্রী ওদের জাদুর খেলা দেখে ঘােষণা করলেন—ওরা শয়তান। মানুষ কখনও এমন অলৌকিক খেলা দেখাতে পারে না। খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল। দুদিন পরেই জাদু প্রদর্শনী শুরু হবার মুখে আক্রান্ত হলাে থিয়েটার হল। বিশাল ক্ষিপ্ত জনতাকে সঙ্গে নিয়ে ওই পাদ্রী সাহেবও হাজির ছিলেন দুই শয়তান নিধন করতে। সেদিন থিয়েটার হলের ম্যানেজার দুই জাদুকর ও নববধূকে ছদ্মবেশে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন বলেই বিশ্ব পেয়েছিল দুই মহান জাদুকরকে, বিশেষত ; ম্যাসকেলিনকে, পৃথিবীর জাদুচর্চার ইতিহাসে যাঁর অসামান্য অবদান আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়। প্ল্যানচেটের ওপর আঘাত হেনেছিল যে বই। ভৌতিক-চক্রের পেশাদার মিডিয়ামরা সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছিল ১৮৯১ সালে মিডিয়ামদের তাবৎ কৌশলের ওপর একটি বই প্রকাশিত হওয়ায়। বিশ্বের ভৌতিক-চক্রের মিডিয়ামদের ইতিহাসে এত বড় আঘাত আর সম্ভব হয়নি। লেখক হিসেবে কোনও নামের পরিবর্তে ছদ্মনাম ব্যবহৃত হয়েছিল—জনৈক মিডিয়াম প্রণীত। বইটির নাম—Revelations of a Spirit Medium, or Spiritualistic Mysteries Exposed-A Detailed Explanation of the Methods used by Fraudulent Mediums-by a Medium বইটির নাম বাংলায় অনুবাদ করলে এইরকম দাঁড়াবে—“এক ভৌতিক মিডিয়ামের গােপন রহস্য উদ্বাটন, অথবা ভৌতিক রহস্য ফাস—প্রতারক মিডিয়ামদের ব্যবহৃত কৌশলগুলাের বিস্তৃত ব্যাখ্যা।—জনৈক মিডিয়ামের লেখা।” | বইটিতে ভৌতিক মিডিয়ামদের সমস্ত রকম আত্মা আনার কৌশল নিয়েই আলােচনা করা হয়েছিল এবং অবশ্যই তার সঙ্গে ছিল প্রতিটি কৌশলের ব্যাখ্যা। বিদেহী আত্মা নামিয়ে বাের্ডে, শ্লেটে বা কাগজে লেখানাে, বিভিন্ন প্রশ্নের লিখিত উত্তর পাওয়া, টেবিলের ওপর টোকা মেরে আওয়াজ করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া,