করেই দিয়েছিলাম। বাস্তবে তখন আমার মা-বাবা দুজনেই জীবিত। বুঝলাম আমি যা উত্তর দেব তাই প্যাডে লেখা দেখতে পাব। সেই রাত বাড়ি ফিরেই আমি আমার ছেলে পিনাকী ও স্ত্রী সীমাকে বললাম, “তোমরা আমাকে এমন কিছু প্রশ্ন করো যার উত্তর তোমরা জানো। আমি লিখিতভাবে সঠিক উত্তর বলে দেব” শেষ পর্যন্ত সঠিক উত্তর লিখে দিলাম প্রতিটি ক্ষেত্রে। পরের দিন আমাদের বাড়ির কাজের বউটিকে, অফিসের কয়েকজন সহকর্মীকে, আকাশবাণীর ডঃ অমিত চক্রবর্তীকে এই একই ধরনের প্রশ্নের সঠিক উত্তর লিখে দিয়ে চমকে দিলাম। তারপর অবশ্য মনোরোগ চিকিৎসক ডাঃ ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার হেডকোয়ার্টার সুবিমল দাশগুপ্তকে এক সামান্য
কৌশলেই অবাক করে দিয়েছিলাম। মনে আছে, সুবিমলবাবু ও ডাঃ ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের চেম্বারে বসেই বলেছিলেন, বলুন তো আমরা ক’ভাইবোন? আপনি যদি বলতে পারেন তো বুঝব আপনার অলৌকিক ক্ষমতা আছে।