পাতা:অল্প কথায় জাতিসংঘ সনদ.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

সপ্তম অধ্যায়ে বলপ্রয়ােগ ও অন্যান্য ব্যবস্থার উল্লেখ রয়েছে। যদি আগ্রাসন অব্যাহত থাকে অথবা শান্তির প্রতি হুমকি থাকে অথবা শান্তি ভঙ্গ হয় অথবা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলাে নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত মেনে না নেয়, তবে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে । পরিষদ আরাে বলিষ্ঠ পদক্ষেপও নিতে পারে। অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি অথবা ব্যাপক অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরােপ, কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য রাষ্ট্রসমূহকে আহ্বান অথবা সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি দানও পরিষদের এখতিয়ারভুক্ত। ১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে এঙ্গোলা, ইরাক, লাইবেরিয়া, লিবিয়া, সােমালিয়া ও সাবেক যুগােশ্লাভিয়াসহ সাতটি সদস্যরাষ্ট্র বা পক্ষের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা, সার্বিক অথবা আংশিক অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ কার্যকর ছিল। ঐ। সময় নিরাপত্তা পরিষদ রােয়ান্ডা সরকারকে ১৯৯৪ সালের আগস্ট মাসে আরােপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দেয়। কিন্তু রােয়ান্ডায় ব্যবহারের জন্য বেসরকারি অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখে। সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদ শক্তিপ্রয়ােগের সংজ্ঞায় আসে এমন পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায়। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯১ সালের এপ্রিল মাসে ইরাক-কুয়েত সীমান্তে বাহিনীমুক্ত এলাকা পরিধারণের জন্য নিরাপত্তা পরিষদ একটি জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত পর্যবেক্ষণ মিশন গঠন করে। ১৯৯৩ সালের মে মাসে পরিষদ ইরাক-কুয়েত সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিশনের সিদ্ধান্তসমূহ যে চূড়ান্ত তা পুনর্ব্যক্ত করে এবং ঐ সীমারেখার অলঙ্ঘনীয়তা নিশ্চিতকরণে সঙ্কল্পবদ্ধ হয়। এছাড়া পরিষদ ১৯৯৩ সালের মে মাসে সাবেক যুগােশ্লাভিয়ায় মানবিক আইন ভঙ্গকারীদের অভিযুক্ত করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যাল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯৪ সালের নভেম্বরে রােয়ান্ডার জন্যও একটি অনুরূপ ট্রাইবুন্যাল গঠিত হয়। ঐসব সিদ্ধান্তই সনদের সপ্তম অধ্যায়ের অধীনে গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, সনদের ৫১ ধারা মােতাবেক যদি কোনাে সদস্যরাষ্ট্র আক্রান্ত হয়, তবে নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক শান্তি বজায় রাখা বা পুনর্ধতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের পূর্বে ঐ রাষ্ট্র আত্মরক্ষার জন্য একক বা যৌথভাবে সংগঠিত হওয়ার পদক্ষেপ নিতে পারে।