পাতা:অশনি সংকেত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अ*नि-न९:कएछ বিনোদ কােপালীর বোন ভান এসে বললে--কি কারচো ঠাকরণ দিদি ? -এসো ভান। বোসো ভাই--দাদাঠাকুর ক’নে ? --রাধিকানগরে হাটে গিয়েছে, এখনো আসবার নামটি নেই। —আজি নাকি খব। হ্যাংনামা হয়ে গিয়েছে হাটে । দাদা ফিরে এয়েচে, তাই বলছেল । অনঙ্গ-বেী উদ্বিগ্ন মখে বললে—কি হ্যাংনামা রে ভান ? হয়েচে কি ? * ভান বললে—কি নাকি চালের দোকান লািঠ হয়েচে, অনেক লোককে পলিসে ধরে নিয়ে গিয়েচে-এই সব। অনঙ্গ-বোঁ আশাব্যস্ত হােল, তার স্বামী লীঠের ব্যাপারে কখনো থাকবে না, সতরাং পলিসে ধরেও নিয়ে যায় নি, হয়তো ওই সব দেখতে দেরি করে ফেলোিচ। তবও সে হাবকে ডেকে বললে-ও হেবো, একটু এগিয়ে দেখা না-হাট থেকে লোকজন ফিরে এলো। এত দেরি হচে। কেন ? এমন সময় শান্য চালের থলে হাতে গঙ্গাচরণ বাড়ী ঢুকে বলল-ওঃ, কি বিপদেই আজি পড়ে গিয়েছিলাম ! আমাকে কিনা ধরেচে। চোর বলে ! অনঙ্গ বলে উঠলো।-সে। কি গো ? -হ্যাঁ, ওই বনোবেড়ের সাধাচরণ দফাদার আর দ্য ব্যাটা চৌকিদার । -ওমা, তারপর ? --তারপর বাঁধে আর কি। শেষে এ গাঁয়ের লোকজন গিয়ে না পড়লে বেধে নিয়ে VET --কি সব্বনাশ গা । মা সাত-ভেয়ে কালীর পজো দেবো স পাঁচ আনা । মা রক্ষা করেচেন । --যাক, সে তো গেল এক বিপদ, ইদিকে যে তার চেয়েও বিপদ । চাল পেলাম না G श --তুমি ভেবাে না, আমি রাতটা চালিয়ে দিবো এক রকমে। কাল দাপরেও চালাবাে। সারাদিনে চাল যোগাড় করে আনতে পারবে এখন খবই । বাইরে এসে তাড়াতাড়ি ভানকে বললে—ভান, দিদি, আমায় এক পালি চাল ধার দিতে পারবে আজ রাতের মত ? উনি হাটে গিয়ে হ্যাংনামাতে পড়ে গিয়েছিলেন, চাল কিনদি। পারেন নি । ভান বললে—এখনি পেঠিয়ে দিচ্চি ঠাকরণ দিদি। --না দিলে কিন্তু রাতে ভাত হবে না ! -ওমা, সে কি কথা ঠাকরণ দিদি, নয়তো আমি নিজে নিয়ে আসচি। ভান চলে গেল বটে কিন্তু চাল নিয়ে এলো না। এই আসে এই আসে করে প্রায় ঘণ্ট খানেক কেটে গেল, তখনও ভােনর দেখা নেই। অনঙ্গ-বেী আশ্চযা হয়ে গেল, ব্যাপার কি ? এই গ্রামে এসে পর্যন্ত যার কাছে যা মািখ ফুটে চেয়েচে সে, তক্ষীনি পরম খাঁশির সঙ্গে সে জিনিসটা এনে দিয়ে যেন কৃতার্থ হয়ে গিয়েচে । এই প্রথমবার অনংগ বেীকে সামান্য এ কাঠা চাল ধার চেয়ে বিফল হােতে হোল । এদিকে বিপদের ওপর বিপদ, স্বামী হাট থেকে এসে কোথায় যেন বেরিয়ে গেলেন, বে।