পাতা:অশনি সংকেত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 अश्वगन्म-मरक्छ সঙ্গে সঙ্গে আরও পাঁচ-ছ'জন লোক ওই এক কথাই বললে। ধান দিতে হবে, না দিলে তাদের পরিবারে অনাহার শহর হবে। বিশ্ববাস মশাই বললেন-নিয়ে যাও গোলা থেকে। যা আছে, দ-পাঁচ আড়ি করে এক এক জনের হবে এখন। যতক্ষণ আমার আছে, ততক্ষণ তোমাদের দিয়ে তো যাই, তারপর যা হয়। গঙ্গাচরণও ধানের জন্যে দরবার করতে গিয়েছিল। তাকে বিবেস মশায় বললেনআপনি ব্রাহ্মণ মানষে। আপনাকে কাজ হিসেবে ধান আর কি দেবাে ! পাঁচ আড়ি ধান নিয়ে যান। কিন্তু এই শেষ, আর আমার গোলায় ধান নেই। গঙ্গাচরণ বিশ্চিমত হােল বিশ্ববাস মশায়ের কথায় । যার গোলাভিতি ধান, মাত্র এই কয় জন লোককে সামান্য কিছু ধান দিয়ে তার গোলা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যাবে, এ কেমন কথা হোল ? পথে তাকে হীর কােপালী গোপনে বললে-বিবেস মশায় ধান সব লকিয়ে সরিয়ে ফেলে দিয়েচে পীি-ডত মশাই। পাছে মোদের দিতি হয়। সেই ভয়ে । দ’ পৌটি ধান ধরে হাতীর মত গোলা-ধান নেই কি রকম ? --তোমরা তো ধান নিলে, কি রকম দেখলে গোলায় ? --গোলা সাবাড়ি পশিড়ন্ত মশাই, নিজের চোকে দেকি এলাম । এক দানা নেই। ওর মধ্যি --তাই তো ! 学 -এবার এই ধান কটা ফুরলি না খেয়ে মরতি হবে-কেন, ভাদ্র মাসের দশ-বারো তারিখের মধ্যে আউশ ধান পেকে উঠচে । ভাবন "চলে যাবে তখন । --তা কি হয়। পণ্ডিত মশাই ? নতুন ধানের চাল খেলি সদ্য কলেরা । দেখবেন তা লোকে খাবে পেটের জবালায় আর পট পট মরবে । ও চাল কি এখন খাওয়া যাবে-না পেরে সহ্যি হবে ? ও খেতি পারা যাবে কাতিক-অঘাণ মাসের দিকি । --তবে উপায় কি হবে লোকের ? -এব্যর যে রকমড়া দেখছি, না খেয়ে লোক মরবো । কথাটা গঙ্গাচরণের বিশ্ববাসী হোল না । না খেয়ে আবার লোক মরে ? কখনো দেখা যা নি। কেউ না খেয়ে মরেচে। জটে যায়ই কোনো-না-কোনো উপায়ে । যে দেশে এত খাবা। জিনিস, সে দেশে লোকে না খেয়ে মরবো ? অনঙ্গ-বেী বললে-ও কটা ধান আমি নিজেই ভেনে কুটে নেবো ঢ়ে"কিতে । ওর জনে আর কারো খোেশামোদ করতে হবে না। কিন্তু ওতে কদিন চলবে ? -उाई gऊा उभाभ७ उठाव5ि । --আমি একটা কথা ভাবচি। অন্য লোকের চাল কেন আমি ভেনে দেই না ? বানি পাবো দ'কাঠা করে চাল মণে । --ছিঃ ছিঃ, দ'কাঠা চাল বানি দেবে তার জন্যে তুমি দশ আড়ি ধান ভানতে যাবে : ‘অতি কস্ট করে দরকার নেই। -কন্ট আর কি ? দকঠা চালের দাম কত আজকাল ! আমি তা ছাড়বে না। দ’কাঠ চাল বঝি ফেলনা !