অশনি-সংকেত --তন্তাপোশের তলায় যে বস্তা ছিল ? --সব ঠিক আছে। নেবে কে ? এই সময় গঙ্গাচরণ ঘরে ঢোকাতে ওদের কথা রন্ধ হয়ে গেল । গঙ্গগাচরণ পাশে বসে বললে-কেমন আছেন বিশেবস মশায় ? --আছি। এক রকম । গঙ্গাচরণ মােরন্দ্রীয়ানা ভাবে বললে-হাতটা দেখিপরে বিজ্ঞের মত মািখ করে বিশ্ববাস মশায়ের নাড়ী পরীক্ষা করে বললে-হাঁ- সৌদামিনী উদ্বিগ্ন সরে বললে-কি রকম দেখলেন পন্ডিত মশাই ? --ভালো। তবে কফের ধাত একটু প্রবল হয়েছে। সৌদামিনী উদ্বিগ্ন সরে প্রশ্ন করলে-তাতে কি হয় ? -হবে। আর কি। তবে বয়েস হয়েছে কিনা, কাফের আধিক্য --ভাল করে বলন। -ान ख्रिन्ग्नछे छान न् । বিশ্ববাস মশায় স্বয়ং এবার মিনতির সরে বললেন-আমাকে এবারটা চাঙ্গা করে তুলন পশিডত মশাই । আপনি দশ সেরা চাল নিয়ে যাবেন । -থাক থাক, তার জন্যে কি হয়েচে ? সৌদামিনী। কিন্তু ব্যস্তসমস্ত হয়ে বলে উঠলো-না, আজই নিয়ে যাবেন’খন । ধামা আমি দেবো । বিশ্ববাস মশায় বললেন- এখন নয়। সন্দের পরে। কেউ টের না পায় । গঙ্গাচরণ এ অঞ্চলে কবিরাজিও করে। কিন্তু কবিরাজি এখানে ভাল চলে না-কারণ এখানকার সবার সারকুমারী মত । সে এক অদ্ভুত চিকিৎসার প্রণালী ৷ জৰ্বর যত বেশিই হোক, তাতে মনানাহারের কোনো বাধা নেই। দ’চারজন সেরেও ওঠে, বেশির ভাগই মরে !! তব ও-মতের লোক কখনো ডাস্তুর বা কবিরাজ দেখাবে না, মরে C5GörK3 RT গঙ্গাচরণ কথাটা জানে, তাই বললে-আপনার সেই সারকুমারী মতের ফকির আসবে নাকি ? --নাঃ । সেবার জলজ্যান্ত নাতিটাকে মেরে ফেললে । আমি ও-মতে আর নেই। -ঠিক তো ? দেখান, তবে আমি চিকিচ্ছে করি মন দিয়ে । সৌদামিনী বলে উঠলো-আপনি দেখােন ভালো করে । আমি ও-মতে আর কাউকে যেতে দেবো না। এ বাড়ীতে । চাল নিয়ে যাবেন সন্দের পরে । দিন দাই পরে বিশ্ববাস মশায় একটু সস্থ হয়ে উঠলেন। একদিন গঙ্গাচরণ গিয়ে দেখলে বিশ্ববাস মশায় বিছানায় উঠে বসে তামাক খাচ্চেন। গঙ্গাচরণ শনলে, এ গ্রাম থেকে বিশ্ববাস মশায় উঠে যাচ্চেন। জিনিসপত্র বাঁধাছাদা হচে । বাইরে আট-দশখানা গরর গাড়ীর চাকার দাগ। রাত্রে এই গাড়ীগালো যাতায়াত করেচে বলেই মনে হয়। গঙ্গাচরণ বন্ধতে পারলে বিশ্ববাস মশায় মজদ ধান চাল সব সরিয়ে দিয়েচেন রাতারাতি । গঙ্গাচরণ বললে-“কোথায় যাবেন চলে নিজের গাঁ ছেড়ে ?
পাতা:অশনি সংকেত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০
অবয়ব