8 অশনি-সংকেত অনঙ্গদের বাড়ী গোয়ালপাড়ার প্রান্তে, দাখানা মেটে ঘর ৷ খড়ের ছাউনি, একখ দোচালা রান্নাঘর। পরিকার-পরিচ্ছন্ন উঠানের ধারে ধারে পে’পে ও মানকচু গাছ । চা দিশি কুমড়োর লতা দেওয়া হয়েচে কশ্চি দিয়ে, রান্নাঘরের পাশে গোটকতক বেগান গা ঢেড়সা গাছ । অনঙ্গ এসে দেখল বাদ্যনাথ কল, বড় একটা ভাঁড়ে প্রায় আড়াই সের খাঁটি সযে-তে এনেচে । তেল মাপা হয়ে গেলে বাদ্যনাথ বললে-মৗ-ঠাকরণ, আজ আর সষে দে;ে नाकि ? -উনি বাড়ী এলে পাঠিয়ে দেবো । এখন এই তেলে এক মাস চলে যাবে-আর পয়সা ছ'ট ? -কেন খোল তো নিয়েচ, আবার পয়সা কেন ? --ছটা পয়সা দিতে হবে সষে ভাঙানির মজরি । খোলের আর কত দাম মা-ঠাকরণ তাতে আমাদের পেট চলে ? -আচ্ছা উনি বাড়ী এলে পাঠিয়ে দেবো । অনঙ্গ-বৌয়ের দটি ছেলে । বড়টির বয়েস এগারো বছর, তার ডাকনাম পটল । ছোট আট বছরের। তাকে এখনও খোকা বলেই ডাকা হয় । পটল খাব সংসারী ছেলে-এ ১ তরিতরকারীর ক্ষেত সে-ই করেচে বাড়ীতে । এখন সে উঠোনের একপাশে বসে বে। বধিবার জন্যে বাঁশের বাখ্যারি চাঁচিছিল । ওর মা বললে-পটলা, ওসব রাখা, এত বেলা হাে দধি দেয় নি কেন দেখে আয় তো ? পটল বাখ্যারি চাঁচতে চাঁচতেই বললে-আমি পারবো না । -পারবি নে তো কে যাবে ? আমি যাবো দগধ আনতে সেই কেষ্টদাসের বাড়ী ? -আহা, ভারি তো বেলা হয়েচে, এখন বেড়াটা বেধে নিই, একটু পরে দধে এনে দেবে-ना qश्म या ! --তোমার প্যায়ে পড়ি মা। বাবা বাড়ী এলে আর বেড়া বাঁধতে পারবো না । এই দ্যাগে ছাগল এসে আজ বেগান গাছ খেয়ে গিয়েচে । খোকা এসে বললো-মা, আমি দধি আনবো ? দাদা বেড়া বধিকে— অনঙ্গ সে কথা গায়ে না মেখে বললে-খোকা, গাছ থেকে দটো কাঁচা ঝািল তো তোদের মাড়ি মেখে দি খোকা জেদের সরে বললে-আমি দধি আনবো না মা ? -R -কেন, আমি পারি। নে ! --তোকে বিশ্ববাস নেই।--ফেলে দিলেই গেল । --তুমি দিয়ে দাখো । भा °ाद्व, काळ ऍथएक उद्भ ९ि3 ना ! --কাল থেকে তো দেবো না, আজকের দাসের দধে তো বালির চড়ায় গড়াগড়ি খাক তোর সাদরি করবার দরকার কি বাপৰ ? দিনটাে কাঁচা ঝাল তুলতে বললাম, তাই তোলা ; এমন সময়ে পটলের বাবা গঙ্গাচরণ চকত্তি বাড়ী ঢুকে বললে-কোথায় গেলে-এই মাছ দীন তীওর দিলে, বললে সাত-আটাটা মাছ পেয়েচি -এটা ব্রাহ্মণের সেবায় লাগকে বেশ বড় মাছটা-না ? এই পটলা পড়া গেল, শাসনা গেল, ও কি হচ্চে সকালবেলা ?