পাতা:অশনি সংকেত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

చి অশনি-সংকেত বোধে কলাই নিয়ে গেল। একজন নিয়ে গেল অপকৃষ্ট পাতা চা ও একটা ছোট পাথরবাটিতে একবাটি গড়। দোকানী বললে—বসন্ন ঠাকুরমশায় --না বাপ, আমি যাবো অনেক দর, উঠি । --না, একটু চা খেয়ে যেতেই হবে। আর তো কিছ দেওয়ার নেই, বসন -চা খাবো। আবার -হ্যাঁ, একটুখানি খেয়ে যান। দয়া করে। -আরও পাঁচ-ছুটি খন্দের দোকানো এল গেল। সকলেই নিয়ে গেল। কলাই । শািন্ধ কলাই, আর কিছ নয়। চা একটু পরে তৈরি হয়ে এল, একটা কাঁচের গ্রাসে করে দোকানী ওকে চা দিলে । গঙ্গাচরণ লক্ষ্য করলে দোকানের মধ্যে তাকে, মেজের ওপর, নানা জায়গায় পেতল কর্মসার বাসন থরে থরে সাজানো। বেশির ভাগ থালা আর বড় বড় জাম বাটি। গঙ্গাচরণ ব্যাপারটা বঝতে পারলে না, এরা কি কসিারি ? বাসন কেন এত বিক্রির জন্যে ? দোকানী আবার তামাক সাজলে । গঙ্গাচরণের মনের কথা বঝতে পেরে বললে-ও বাসন অত দেখাচেন, ওসব বাঁধা দিয়ে গিয়েচে লোকে । এ গাঁয়ে বেশির ভাগ দলে বাগদি আর মালো জাতের বাস । নগদ পয়সা দিতি পারে না, ওই সব বাসন বাঁধা দিয়ে তার বদলে কলাই নিয়ে যায় । --সবাই কলাই খায় ? --তা ছাড়া কি মিলবে ঠাকুরমশায় । ওই খাচ্চে --তোমার চাল নেই ? --না ঠাকুরমশায় । --আমি দাম দেবো, সত্যি কথা বলে । নগদ দাম দেবো । --না ঠাকুরমশায়। হাত জোড় করে বলচি ও অন্যুরোধ করবেন না ! -tठाभद्मा कि था९3 बाएीgऊ ? --মিথ্যে কথা বলবো না, ভাত চার আনা, কলাই বারো আনা । ডাটা শাক দটো করেলাম বাড়ীতে, তা সে রাখবার উপায় নেই। দিনমানেই ক্ষেতে লোকজন, মেয়েছেলে, খোকাখাকীরা ঢুকে গোছা গোছা উপড়ে নিয়ে যাচ্চে। সাবাড় করে দিয়েচে সব । কিছর রেখে খাবার জো নেই। চালকুমড়ো ফলেছিল গোটকতক এই দোকানের চালে, কে তুলে নিয়ে গিয়েচে । গঙ্গাচরণ তামাক খাওয়া সেরে ওঠাবার যোগাড় করলে । দোকানী বললে-ঠাকুরমশায় কলাই নেবেন ? 一昭TS --নিয়ে যান সেরখানেক । এর দাম আপনাকে দিতে হবে না । আর একটা জিনিসদাঁড়ান, গোটাকতক পেয়ারা দিই নিয়ে যান, আমার গাছের ভালো পেয়ারা-তাও আর কিছ নেই, সব পেড়ে নিয়ে গেল ওরা। আমি ডাঁসা দেখে দশ-বারোটা জোর করে কেড়ে নিয়ে রেখেছিলাম । গঙ্গাচরণ বাড়ী পৌঁছে দেখলে অনঙ্গ-বেী চুপ করে শায়ে আছে। এমন সময়ে সে কখনো শহয়ে থাকে না ।