অশনি-সংকেত দিয়ে গণগাচরণ যেমন বাড়ীর দিকে চলবে, ও অমনি চলবে গঙ্গাচরণের সঙ্গে । সোজাস কথা বললে কেমন হয় ? না মশাই, এবার আর সবিধে হবে না। আমার ওখানে। বাড় অসখি, তার ওপর চালের টানাটানি । কিন্তু পরবতী সংবাদের জন্যে গঙ্গাচরণ প্রস্তুত ছিল না। বেলা যত যায় দােগা ভট্যচায মাঝে মাঝে পাঠশালা থেকে নামে আর রাস্তার ওপর ীি • দাঁড়িয়ে সেখহাটি-মণিরামপারের বিলের দিকে চেয়ে চেয়ে কি যেন দেখে । দ'তিনবার এ রকম করবার পরে গঙ্গাচরণ কৌতুহলের সরে বললে--কি দেখচোন ? -এত দেরি হচ্চে কেন, তাই দেখাচি । --কাদের দেরি হচ্চে ? কারা ? -ওই যে বললাম। বাড়ীর সবাই আসচে। কিনা। আমার সত্রী, মেয়েটা, আর দ। ছেলে । সব না খেয়ে আছে যে। আর কোনো উপায় তো দ্যাখলাম না । বলি, চ আমার অন্নপন্নো মার কাছে। না খেয়ে ষোল-সতেরো বছরের মেয়েটা বজড কাতর । পড়েচে । দিশেহারা মত হয়ে গিয়েছে মশাই। তা আমি দটাে কলাইসেন্দ খেলাম মণির পরের নিধন চক্কত্তির বাড়ী এসে । তাদেরও সেই অবস্থা। গোয়ালার বামন, এ দক্ষিণ কোনো কাজকম নেই, পায় কোথায় বলন । চাল একদানা নেই তাদের ঘরে । নিধন চকী বড়ো মা বঝি জনরে ভািগছে আজ দা, মাস। ওই ঘাষঘষে জৰুর। তারই জন্যে দ, পরনো চাল যোগাড় করা আছে। তিনি খান । ওরা খেতে বসেচে। সিন্ধকালাই । সমান অবস্থা । আমি বলি আমি এগিয়ে গিয়ে বসি পশিডত মশায়ের পাঠশালায়, তো ua সবানাশের মাথায় পা ! দািগ ভটচ,য গাস্টিসমেত এ দাদিনে তারই বাড়ী এসে জটচে তা হলে ! মতলব ক;ে দেখাচি ভালোই । এখন উপায় ? সোজাসাজি বলাই ভালো। না কি ? এমন সময়ে রাস্তা থেকে বালিকা-কন্ঠে শোনা গেল-ও বাবা-কে রে, ময়না ? বলেই দােগা পন্ডিত বাইরে চলে গেল । গঙ্গাচরণ বাইরের দিকে চেয়ে দেখলে, একটি ষোল-সতের বছরের মেয়ে পাঠশাল সামনে পথের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটিকে নিয়ে অলপ একটু পরেই দােগা পণ্ডিত প শালায় ঢুকে বললে-এই আমার মেয়ে ময়না, ভালো নাম হৈমবতী ৷ প্রণাম করো মা কি বিষম মশকিল । হৈমবতী এগিয়ে এসে প্রণাম করলে সলজভাবে । বেশ সন্দরী মেয়ে। ওই রে পটকা, দড়ির মত চেহারা দােগা ভটচায্যের এমন সন্দের মেয়ে ! f'ी छप्रेरुष वनळ-९३द्वा नाव ऐका ? হৈমবতী বললে-ওই যে বাবা গাছতলায় বসে আছে মা আর খোকারা। আমি ও কাছে ঘাই বাবা। বোঁচকা নিয়ে মা হাঁটতে পারচো না। গঙ্গাচরণের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েচে । এদের তাড়ানো আর তত সহজ নয়। ৫ বোচক-বচকি নিয়ে আহারের সম্প্রধানে দেশত্যাগ করে যখন রওনাই হয়েচে । বিশেষ কা
