পাতা:অষ্টাঙ্গ হৃদয় - বাগ্‌ভট.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ अकेाक्रशान्नु । • [ ७ अa শস্ত্র গোরোচনা পদ্ম বা সুবর্ণের ন্যায় বর্ণবিশিষ্ট, দীর্ঘবাহু, বিস্তীর্ণ ও পীবর বক্ষঃ, প্রশস্তলিলাট, ঘন নীলবর্ণ কেশবিশিষ্ট, কোমলাঙ্গ, সম ও সুবিভক্ত চারু অবয়বযুক্ত, বহু ওজঃ রতিরস শুক্র পুত্র ও ভৃত্য যুক্ত এবং ধর্ম্মাত্মা হয়। . ইহারা কখনও কাহাকেও নিষ্ঠুর বাক্য বলে না, শক্রতা চিরকাল দৃঢ় ও প্রচ্ছন্ন ভাবে রাখে, কখন শিথিল করে না। ইহাদের মদমত্ত গজেন্দ্রের স্থায় গমন এবং মেঘ, সমুদ্র মৃদঙ্গ ও সিংহের ধ্বনির ন্যায় ঘর। ( আওয়াজ) হয় । বাল্যকালেও ইহারা অতিরোদনশীল বা লোভী হয় না। ইহারা স্মৃতিমুন শোভনাভিযোগী ও বিনীত হয়। শ্লষ্মপ্রকৃতি ব্যক্তি তিক্ত কমায় কটু উষ্ণবীর্য্য রুক্ষ ও অল্প ভোজন করে, তথাপি স্বভাবতঃ বলবান হয়। ইহার দীর্ঘায়ু, প্রচুর ঐশ্বর্য্যশালী, দূরদর্শী, বদান্য, দানাদিতে শ্রদ্ধাবান, গভীর, ভুরিদাতা, ক্ষমাবান, আর্য,(সজ্জন), নিদ্রালু, দীর্ঘসূত্রী, কৃতজ্ঞ, সঁরলচিত্ত, পণ্ডিত, জনপ্রিয়, লজ্জাশীল, পিত্রদি গুরুজনের ভক্ত ও দৃঢ়বন্ধুত্ব যুক্ত হয়। . ইযুদের চক্ষু সুস্নিগ্ধ বিশাল দীর্ঘ ও পক্ষ্মল, সুবিভক্ত শুক্ল কৃষ্ণ মণ্ডলযুক্ত এবং নেত্রপ্রান্ত রক্ত বর্ণ হয় । ইহাদের বাক্য ক্রোধ পান ভোজন ও কায়িক চেষ্টা অল্প হইল্প থাকে। শ্লেষ্মপ্রকৃতি ব্যক্তি স্বপ্নে পদ্ম ও-বিহঙ্গমালা শোভিত জলাশয় ও মেঘ দর্শন করে . ইহাদের স্বভাব ব্রহ্মা রুদ্র ইন্দ্র বরুণ গরুড় হিংস গজাদিপ সিংহ অশ্ব গো ও বৃষ সদৃশ হয় । ১০১-১০৮ N বাতাদিদোষজ ত্রিবিধ প্রকৃতি উক্ত হইল। তন্মধ্যে বাতাদিদোষদ্বয়ের লক্ষণ একত্র দুষ্ট হইলে তাহাকে দ্বন্দুপ্রকৃতি এবং দোষত্রয়ের লক্ষণ প্রকাশ পাইলে, তাঁহাকে ত্রিদোষজপ্রকৃতি কহে । সমুদায়ে সপ্ত প্রকৃত্বি নির্দিষ্ট হইল ॥১০৯ Cras এক্ষণে সত্ত্বাদিপ্রকৃতি কথিত হইতেছে । " এইরূপ বাতাদি প্রকৃতিম ন্যায়, শৌচ আস্তিক্য ও শুক্লধর্ম্মরুচ্যাদি, সত্ত্বাদি (সত্ত্ব রজঃ ও তমঃ) গুণ দ্বারা সত্ত্বদিগুণময়ী স্নাপ্ত প্রকার প্রকৃতি হইয়া থাকে। যথা সত্ত্ব প্রকৃতি, রজঃপ্রকৃতি, তমঃপ্রকৃতি, সত্ত্বরাজমপ্রকৃতি, সত্ত্বতমঃপ্রকৃতি, রক্রান্তমঃপ্রকৃতি ও ত্রিগুণপ্রকৃতি, (বাতাদি সপ্তপ্রকৃতি ও সত্ত্বাদি সপ্তপ্রকৃত্ত্বি পরস্পরের অনুবন্ধ করে ) ॥ ১১০ কালকৃত শরীরাবস্থাকে। বয়স কহে। বয়স ত্রিবিধ ; বাল্য মধ্য ও বৃদ্ধ। ষোড়শবর্ষ বয়স পর্যন্ত বাল্যকাল। (বাল্যকাল ত্রিবিধ ক্ষীরবৃত্তি ক্ষীরান্নবৃত্তি ও অন্নবৃত্তি) এই বাল্যকালে রসাদি ধাতু, চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয়ের শক্তি এবং সর্বধাতুসার ওজোধাতুর বৃদ্ধি হয়। ষোড়শ হইতে সপ্ততি ( ৭০ ) বৎসরের পূর্ব পর্য্যন্ত মধ্য বয়স, এ সময়ে ধাত্বাদির আবৃদ্ধি হয়। ( ইহাও ত্রিবিধ, যৌবন সম্পূর্ণত্ব ও অপরিহানি। ৩০ বৎসর। পর্যন্ত যৌবন, এ সময়ে পিত্তোদ্রেকহেতু প্রজ্ঞ পরিপ্লাক ও ব্যবসায় হয়। 'অতঃপর ৪০ পর্যন্ত সমস্ত ধাতু ইন্দ্রিয় বল বীর্য্য পৌরুষ স্মরণ বচন বিজ্ঞান গুণাদির পূর্ণতা হেতু সম্পূর্ণত্ব, তৎপরে অপরিহানি একোনসপ্ততি পর্যন্ত) সপ্ততি বৎসরের পর ক্ষয় হইতে থাকে। এসময়ে বায়ুর বৃদ্ধি, ধাতু ইন্দ্রিয় ওজঃ গ্রুভূতির ও বলবীর্য্যাদির • ক্রমশঃ ক্ষয় এবং বলীপালিত কাস শ্বসাদি দ্বারা অভিভূত হওয়ায় শরীর জীর্ণ হয় ৷৷ ১১১ স্বস্ব হন্তের সাৰ্দ্ধত্রিহস্ত (৩৮ হাত) পরিমিত শরীরই সুখ ও আয়ুর আধার ; কিন্তু তাহা যদি জন্মাবধি অরোমশারি অষ্ট নিন্দিতগুণযুক্ত না হয়। অর্থাৎ জন্মাবধি অরোমশ বা অতিসূরামর্শ, অতিকৃষ্ণ বা অতিগৌরী, অতি স্থল বা অতি কৃশ, অতি দীর্ঘ বা অতি হ্রস্ব শরীর, সাৰ্দ্ধত্রিহস্ত