পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«ყ অসমীয়া সাহিত্য আসামে প্রবেশ করিয়াছিল। ইহারা পাব হইতে আসিয়াছিল কি পশ্চিম হইতে, সে বিষয়ে পণ্ডিতদের উপরই বিচারের ভার রহিল। এক শাখা মেডিটারেনীয়ান বা ভূমধ্যসাগরীয় এবং প্রটোসমেরণীয়ান সভ্যতার সহিত সংশিলাস্ট। আর একদল ব্রহয়দেশের মন বা তালৈওগদের সমগোত্রীয়। অস্ট্রিক গোঠী ভাষার মধ্যে আসামে খাসিয়াই প্রধান। আজও মুখে মুখে লৌকিক সাহিত্য হিসাবে খাসিয়া ভাষার প্রসাব ও প্রচার আছে। কিন্তু অস্ট্রিকভাষা ভারতের সবত্রই আযীকরণের প্রভাবে পড়িয়াছিল। তাহার পর আসিয়াছিল দ্রাবিড়ভাষাভাষীরা–দীঘকপাল ভূমধ্যসাগরীয় ও হ্রসবকপাল আমেনিয়েডরা। মহেঞ্জদড়ো ও সিন্ধু সভ্যতার ধারক ও বাহকরপেই ইহারা ভারতবষে সপরিচিত। পরবতীয়াগে ভোটচীনরাও আসামে প্রবেশ করিয়াছিল। আসামের গারো, লুশাই ও বোডো জাতি এই গোষ্ঠীভুক্ত। তাহাদের ভাষা ক্রমশই বাংলা ও অসমীয়ায় মিশিয়া যাইতেছে। সাহিত্য নাই বলিলেই হয়। মহাভারতে আমরা শিবোপাসক কিরাত জাতির কথা পড়িযাছি। ভারতীয় সাধনার ইতিহাসে ও তান্ত্রিক উপাসনার বিকাশে শিবশক্তি পজাব পথান কোথায়, সাহিত্যেব পরিচয়ে তার বিচার গৌণ। প্রাক-আহোম যুগের কাছাড়ি, চুতিয়া, বারভুঞাই প্রভৃতি ঘোর শাক্ত ছিলেন। কাছাড়িব ব্রা বি, চুতিযার কেছাইখাতীর তামেশ্বরী, আর বারভূইঞার আইগোসানী প্রাচীন মাতৃতন্ত্রাবাদ, শৈববাদ ও আধুনিক তন্ত্রবাদের সঙ্গে মিশিয়া এক সঙ্কর ধমের উৎপত্তি কবিসাছিল। দেবী কামাখ্যার অভু্যদযও এই সমীকরণের প্রকাশ। শ্রন্ধেয রাজমোহননাথের মতে ইনি অস্ট্রিক ভূমাতা ‘কা মাই খা' । ইতিহাসের কথা ছাড়িয়া দিয়া ভাষাব দিক হইতে দেখিলে অসমীযা ভাষা বাংলা ভাষার মত প্রাচীন মন্ডোকোল মনখমের ভোটৱহয় নরগোষ্ঠী(কিরাত )র ভাষা প্রভাবিত প্রাচীন আযভাষার অপভ্রংশ ও জটিল সংমিশ্রণ। মধ্যভারতীয সংস্কৃত “উদীচাখণ্ডে”র ভাষা এবং এই ভাষার সঙ্গে কিছু পাথক্য ছিল। পতঞ্জলিও তাহা দেখাইয়া গিষাছেন, যেমন ব-এর সখানে ল-এর ব্যবহার । আচার্য লেভির মতে এই বৈশিষট্য মণ্ডা মনখমের ভাষা-পবিবাবের। একটি কথা মনে রাখা আবশ্যক যে, সপ্তম-অষ্টম শতাব্দীতে সাহিত্যে ভাষায যে গৌড়ী-বাতিব কথা পড়ি, যাহা ভামহ ও দণ্ডী সমরণীয় করিযা গিযাছেন, যাহাকে বৈদভী রীতির বিদ্রোহ বলিয়াই ধবা যাইতে পারে এবং যাহাকে বাণভট্ট মাত্রার আড়ম্বর (অক্ষবড়ম্বব ) বলিয়া শেলষ করিযাছেন তাহা কামবপেও প্রচলিত ছিল। ভাস্করবমর্ণর নিধানপরে তাম্রশাসন সেই অলংকৃত রীতিব প্রথম পরিচয। সমুদ্রগুপ্রেতব লিপিতে কামর পবিজযের কথা আছে। কালিদাসের রঘরে দিগ্বিজযেও কামর পেল নাম পাই । মহাভারতে নরক ও ভগদত্তেল বিবরণ আছে। বক্মিণী-হবণের কাহিনী সাহিত্যে পাইলেও ইতিহাসে পাইনা। গঙ্গেতদের সময়ে প্রাগ জ্যোতিষভুক্তি সম্রাটেব শাসনাধীন একটি প্রদেশ। মাৎস্যনাযমপোহিতুং গোপাল যখন প্রকৃতিপঞ্জেব অনুমোদনে সিংহাসন আবোহণ কবেন তখন ও তাঁর পত্র ধর্মপালদেবের সমযও কামবপ গৌডসাম্রাজ্যভুক্ত বলিয়াই মনে হয়। কথিত আছে যে, কুমারপালদেবেব মন্ত্রী বৈদ্যদেব কামরাপ বিজয় কলিয়া সেখানে রাজা হইযাছিলেন। কবি শরণের কবিতায় লক্ষণসেনদেবের কীতিবর্ণনাযও কামরপেব উল্লেখ পাই— ভ্রক্ষেপাদ গৌডলক্ষয়ীং জয়তি কেলিমাত্রাৎ কলিঙগান বিনয়তে কামর পাভিমানং