পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাকবৈষ্ণবী কন্দলী যুগ ; : ২১ মাধবকন্দলী নিজের আত্মপরিচয় এইরুপ দিতেছেন— কবিরাজ কন্দলী যে আমাকে সে বলি কয় মাধব কন্দলী আরো নাম। সপোনে সবিতে মঞি জ্ঞান কায়বাক্যে মনে অহনিশে চিন্তো রাম রাম ॥ শেলাকে সংস্কৃতে আমি, গাঢ়িবাক পারিছয় করিল হো সবজন বোধে । রামায়ণ সপেয়ার শ্রীমহামাণিক্য যে বরাহী রাজার অনুরোধে ॥ এই বরাহী রাজা কে, এবং মহামাণিক্য কাহার উপাধি, এই লইয়া বহল তকবিতক হইয়াছে। কামরুপের পালরাজাদের সময় আমরা ভৌমপাল ও বরাহী পালেদের নাম শুনিয়াছি। বাঙালী বৈদ্যদেব কর্তৃক কামরুপ রাজ্য অধিকৃত হইবার পর কামতা রাজ্য পথাপন এবং পরে কাপিলি উপত্যকায় কামেশ্বর নামে ঐরাজ্যেরই পবিভাগ শাসনের জন্য একটি উপরাজ্য পথাপিত হয়। ঐতিহাসিক রাজমোহন নাথ প্রাচীন কামরুপের বরাহী-পালবংশের সহিত এই রাজ্যকে সংযন্ত করেন। ডাঃ বাণীকান্তের মতে জয়ন্তাপরের কাছারী রাজা মহামাণিক্যের অনুরোধে ‘প্রাগবৈষ্ণব যুগত মাধব কন্দলীয়ে সম্পণে রামায়ণ অসমীয়ালৈ ভাঙে। মাধব কন্দলী মধ্য অসমর অর্থাৎ বর্তমান নগাওঁর আছিল’। এই প্রসঙ্গে ইহাও সমরণ রাখা কতব্য যে কপিলী-উপত্যকাতেই ত্রিপরোরাজবংশের প্রথম পরিচয় পাওয়া যায় এবং আজ পর্যন্ত এই মাণিক্য উপাধি ত্রিপরাধিপতিদের ভূষণ হইয়া আছে। মহামাণিক্যর বোলে কাব্যরস কিছু দিলোঁ দুগ্ধক মথিলে যেন ঘতে। মাধবকন্দলীর নিজের উক্তি যে তিনি বালমীকির মল রামায়ণেরই অনুসরণ করিয়াছেন— বালমীকি যে মহাঋষি রামায়ণ প্রকাশিল সংসারত স্ৰজিল অমত। আকশীনি নরলোক কলিত সদগতি হোক আকশমনি হোবে কৃত্যকৃত ॥ মাধবকন্দলী বিপ্রে, তাহার চরণ সমরি করিলন্ত শেলাকক উদ্ধার ॥ কন্দলী উপাধি কোথা হইতে আসিল, ইহা লইয়াও বহু গবেষণা হইয়াছে। কন্দলী উপাধিধারী বহন কবির নাম পাওয়া যায়, যেমন মহেন্দ্রকন্দলী, মাধবকদলী, অনন্তকন্দলী, শ্রীধরকন্দলী, রত্নাকরকন্দলী, রচিনাথ কন্দলী ইত্যাদি। অনেকে মনে করেন, কন্দলে অথাৎ তকে যিনি পারদশী তাঁহাকে কন্দলী বলা হইত— “তকত লভিলা নাম অনন্ত কন্দলী । o এই প্রসঙ্গে আর-একটি কথা প্রণিধানযোগ্য। শ্রীযন্ত উপেন্দ্রচন্দ্র লেখার স্যার রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকরের বারা উত্থাপিত একটি ঐতিহাসিক প্রশ্ন উত্থাপিত