পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

も)O অসমীয়া সাহিত্য করিয়াছেন–রামকে বিষ্ণর অবতার বলিয়া স্বীকার করা হইল কবে ? রামকে বিষ্ণর অবতার বলিয়া স্বীকার বায়পরাণেই প্রথম। বাল্মীকির রাম একজন উন্নতমনা বীর, ভবভূতির রাম আরো মহীয়ান। হেমাদ্রির ব্রতখণ্ড ও বন্ধ হারিতের পমতিগ্রন্থে রাম অবতার বলিয়া গণ্য। রামানন্দই চতুদশ শতাব্দীতে রামসীতাভক্তি প্রচার করেন। কন্দলী রামায়ণও প্রায় এই সময়ের। শ্রীকৃষ্ণও এইভাবে ঐতিহাসিক বিতনের মধ্য দিয়া কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ং হইয়া উঠেন। সুপণ্ডিত শ্রীযুক্ত প্রবোধচন্দ্র সেনের মতে বাসদেব কৃষ্ণের সব প্রথম উল্লেখ ছান্দোগ্য উপনিষদে (খ্রীস্টপব সপ্তম-অষ্টম শতাব্দী)। মথরো নগরীতে যাদব জাতির অন্তগত সাত্বত ব্যষ্ণিকুলে তাঁর জন্ম। ঘোর আঙ্গিরস তাঁর গরে-পরাষ । যজ্ঞবিদ্যা তিনি দান করিতেছেন। জৈন উত্তরাধ্যায়ন সত্র, মহাভারত ও পরাণ অনুসারে তাঁর পিতার নাম বাসদেব । ছান্দ্যোগ্য উপনিষদে দেবকীপত্রে কৃষ্ণ একজন মানুষ। পাণিনির অল্টাধ্যায়ী ব্যাকরণে (খ্রীস্টপব পঞ্চম শতাব্দী) তিনি ভক্তির পাত্র ক্ষত্রিয়প্রধান। পাতঞ্জল মহাভাষ্যে (খ্রীস্টপব দ্বিতীয় শতাব্দী) তিনি দেবত্ব লাভ করিয়াছেন। বেসনগর গরুড়স্তম্ভে তিনি দেবদেবী। ঋগ্বেদের বিষ্ণসেন্তেই আমরা প্রথম বিষ্ণর উল্লেখ পাই। তৈত্তিরীয়োপনিষদে বিস্তীর্ণ পাদক্ষেপকারী বিষ্ণুও আমাদের কল্যাণকারী হউন। ‘শংনো বিষ্ণর রক্রমঃ। এই প্রার্থনা আছে প্রথম অনবোকে। প্রাচীনকাল হইতেই বিষ্ণু ও কৃষ্ণ ও পরে রামকে আশ্রয় করিয়া বৈষ্ণব দশন, সাহিত্য ও চিন্তা গড়িয়া উঠিয়া বিশাল বটদ্রমে পরিণত হইয়াছে। এই ধারা আজও সক্রিয় ও চলমান। সদধম পণ্ডেরীকে, মহাকবি অশ্বঘোষের রচনাতে, নাগাজনের লেখায়, কালিদাসের কাব্যে, বাণভট্টের বধানাচায্যের ধরন্যালোকে, সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিতে, রামানুজাচার্য, নিবাকাচার্য, মধবাচাষ, জ্ঞানেশবর, বল্লভাচার্য, আলবার সম্প্রদায়ের লেখায়, নারদীয় পঞ্চরাত্রে, সাত্বত আগমনের ব্যাখ্যায়, চতুবর্ণ হবাদে, এবং সবশেষ ভারতের দিকে দিকে--বিশেষ করিয়া বাংলায়, আসামে, মিথিলায়, মহারাষ্ট্রে এই বৈষ্ণবী চিন্তার ধারা সাহিত্যে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া মহাভারতের সম্মিট করে। আসামের বৈষ্ণব কবিগণ ভারতীয় সেই ধারার সহিত যুক্ত এবং বৈষ্ণব সাধনার ও সাহিত্যের ইতিহাসে মহাপরিষে শঙ্করদেব ও তাঁর পববতী ও পরবতী কবি ও সাধকগণের দান অতুলনীয়। মহাপরিষে শ্রীমন্ত শঙ্করদেব পাবকবিদের মধ্যে কন্দলীদেবকে প্রধান ও প্রথম সথান দেন— পব কবি অপ্রমাদী মাধব কন্দলী আদি বিরচিল পদে রামকথা । কথিত আছে যে, মাধবদেব আদিকাণ্ড ও শংকরদেব উত্তরকাণ্ড রচনা করিয়া মাধব কন্দলীর রামায়ণ সম্পণ করিয়াছিলেন। মাধবদেবের ভণিতাতেও পাওয়া যায় রামের চরিত্র বিরছি আছন্ত মহা মহা কবি জনে, তা সম্পবাক দেখি পদকরিবাক স্বাদ ভৈল মোর মনে । মাধব কন্দলীর রামায়ণের প্রতি অধ্যায়ের পাবে ও পরে মল ভণিতা বরপ শাভশভ ও ডাকি বোলা রাম রাম প্রভৃতি অীচুকুল যোগ হইত। মাধব কন্দল্লীর দেবজিত বলিয়াও বৈষ্ণব ধর্মদ্যোতক আর-এ ছিল বলিয়া পণ্ডিতদের মত। কিন্তু এই পসেতকের কিছু পদ যে প্রক্ষিপত সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। এমন কি র রামায়ণেও বহু পরবতী কবির পদ