পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 Uు অসমীয়া সাহিত্য আসেন। . ইহা প্রমাণিত হয় নাই। তিনি গীতা ও শ্রীমদ্ভাগবত, এই দুই গ্রন্থকেই প্রাধান্য দিতেন। আত্মিক উন্নতির জন্য সংসারত্যাগ বা সন্ন্যাসগ্রহণের বিশেষ প্রয়োজন তিনি মনে করিতেন না । সংসারের মধ্যে থাকিয়াও বিষয়-বিষ-বিকার-জীণ না হইয়াও ভগবদ্যপ্রেম লাভ করা যায়, এই ছিল তাঁহার মত। তিনি ভাগবতের শকদেবের মত বলিতেন গহে দারাস তৈষণাং সত্রীপত্র নিয়া বাসনা দরকরিয়া তত্ত্বৈষণা সবে তার পবে নয়। সংসার মায়া নয়, মোহ নয়, মতিবিভ্রমের কারণ অধাষিত মনে এই শিক্ষা ও দীক্ষা দেওয়া প্রায় বিদ্রোহেরই সমান। ভারতবষী বলিয়া আসিয়াছে, অহং ব্রহালিম, তত্ত্বমসি শ্বেতকেতো, ঋতম্ভরা প্রজ্ঞা, সবং খলিবদং ব্রহয়, অয়মহংভোঃ; কিন্তু মহাবাক্যগুলির সঙ্গে তার অখন্ড অন্বয়ের সম্মবন্ধকে হয়তো পাণ মযাদা দেয় নাই। অসীম বিশাল সত্যকে সীমার রেখায় মিত’ করিয়া নাম ও রাপের মধ্যে ফটাইয়া তোলাই হইতেছে মায়া'। শ্রীঅরবিন্দের দিব্যজীবনে নচিকেতার অভীপসা এই ভাবেই বণনা করিয়াছেন অনিবাণ । শ্রীশঙ্করদেবও এই কথাই নিজের জীবনে কমের মধা দিয়া প্রমাণিত করিয়া গিয়াছেন। মহাপুরুষ শঙ্করদেব রামানজের মত ব্রহম ও জীবের মধ্যে সীমা টানিয়া দিয়াছিলেন, সেই জন্য তাঁর মধ্যে দাস্যভাবই প্রবল—কৃষ্ণের কিন্তুকর তিনি। শঙ্করদেব কিন্তু মতিপজার পক্ষপাতী ছিলেন না। গ্রামে গ্রামে নামঘর ও নামঘোষার কৗতন প্রবতনি হইল। প্রধান প্রধান সত্র ও পাটবাটীতে ‘শ্রীমদভাগবত গ্রন্থসাহেবের ন্যায় পজিত হইতে লাগিল। তিনি স্বয়ং শ্রীমদভাগবত শ্রীধর স্বামীর টীকা অবলম্ববনে অনুবাদ করেন। বেদান্ত, গীতা ও ভাগবতকে ভিত্তি করিয়া তিনি একশরণ নামধৰ্ম প্রচলন করেন। ভগবান ব্রহার্যপী সনাতন, পরষে ও প্রকৃতির দ্বৈতলীলার উপর তিনি মাধব । নাম, দেব, গরে আর ভক্তি এই চারি বস্তুই মুক্তি আনিয়া দেয়। তাঁর সাধনা কিন্তু রাগানরোগ মাগের সাধনা নয়, উদ্ধবের সাধনা। সব সমপিয়া একমন হইয়া নিকিন্তু পরিপাণ আত্মনিবেদন আছে, কিন্তু সে আত্মসমপণ মধরে রসসিঞ্চিত রাধার মহাভাবের সাধনা নয়। সেখানে আমার মাঝে তোমার লীলা হবে ঠিক সেই ভাব নাই। গতির ছন্দ নাই, পাওয়ার আবেগ নাই, চাওয়ার বেগ নাই। মন বাক চিত্ত নিবাপিত, শান্তম সিথর আচঞ্চল উপাধিবিহীন। নারদের মতে ভক্তিই পরম প্রেম। শান্ডিল্য একে বলিলেন পরাভক্তি। টীকাকার সবপেনশ্ববর ব্যাখ্যা করিলেন ভগবানের প্রতি ভক্তিই পরাভক্তি— উপরিবা * শাস্ত্রর নীতি হইব ক্ষমাবন্ত অতি সমস্ত প্রাণীক কর দয়া। সত্যশোঁচ ধম ধরি মনত জপবা হরি তেবে না বান্ধিবে বিষ্ণুমায়া ॥ ইহা ছিল তাঁহার শিষ্য দামোদরদেবের বাণী। গরের অনবেত্তি করিয়া তিনি আরো বলিয়াছিলেন— “তেওঁ পরমবৈষ্ণবী দগণদেবীর পজা করাতো কাকো বাধা না দিচ্ছিল, কিন্তু জীবহিংসা করি তেওঁক পজা করিব খুজিলে বর আপত্তি করিছিল।”

  • উপেক্ষা করবেনা