পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীমন্ত শঙ্করদেব ও পরবতীর্ণগণ ৪১ কবি চমৎকার ভাবে মানবীয় ভাবটি ফটোইয়াছেন— ধরহ সবহি মিলি হরিক চোর। মাধব কহ গতি গোবিন্দ মোর ॥ তার পর শ্রীকৃষ্ণ পলায়ন করিলেন—‘হামাকু মারি চোর পলাই বলিয়া গোপীরা চীৎকার করিয়া উঠিল। বালগোপালের এক একটি অপব রপে অসমীয়া বৈষ্ণব সাহিত্যে পাওয়া যায়। এই সাহিত্য বাৎসল্যভাবে নিবিড়ঘন । শ্রীধর কন্দলীর কাণখোবা’ কবিতা শিশকৃেষ্ণ সাহিত্যের একটি চমৎকার ছবি—ওরে কানাই কান খাওয়া আসিতেছে— সকল শিশরে কান খাই খাই আসয় তোমার পাশে । মাধবদেবের পিপরা-গনচুরা নাটকে তস্করচড়ামণি শ্রীকৃষ্ণের দধিদুগ্ধ-ভক্ষণ অপবাদের উত্তর গ্রামাদোষদটি হইলেও চাতুযে ভরা— “আহে গোবালি, তোহে বড়ি নিদারণে হৃদয়, আপন জিহৰা রাখিতে না পারি আপন গহে দধিদুগ্ধ লবন খালি আর ভাতারের ভয়ে হামাক অপযশ দেবস। আমাক ঘরে লবন কে পাছত ? খাইবার না পাই তোহারি ঘরে চুরি করিয়া লবন খাবলো”— ওরে গোয়ালিনী তোদের হৃদয় বড়ই নিদারণে। নিজেদের জিহৰা সংযত রাখিতে না পারিয়া নিজের ঘরে দধিদুগধ ননী খাইয়া ফেলিনি, আর স্বামীদের ভয়ে আমার নামে অপযশ! আমার ঘরে কিসের অভাব যে তোদের ঘরে চুরি করিব ? মাধবুদেব সগোয়ক ছিলেন। তিনিও বহু বরগীত রচনা করিয়াছিলেন। মাধবদেবের বরগীতের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের বাল্যজীবনেরই ছায়া। শঙ্করদেব মাধবদেবের কানাইএর রপ কিরকম-—পঞ্জীভূত গোপিনীর প্রেমে যেন একস্থানে রপ লইয়াছে কালা নোহে শ্যামরাপ ধরিছে অমিয়া। যেন তুলি দিয়া একটি রেখায় శా ఆ కళా శా H এযেন ঠিক বিদ্যাপতি ঠাকুরের একাঢ় পদ– যব গোধলি সময় বেলি ধনি মন্দির বাহির ভেলি নবজলধরে বিজরি রেহা বন্দ্ব পশারি গেলি। শঙ্করদেবের রচনাতে যে দাশনিক গভীরতা, বিরাট শাস্ত্রজ্ঞান, অগাধ পাণ্ডিত্য ও সাহিত্যিক রসবিচার পাওয়া যায় মাধবদেবের কাব্যে নাট্যে কৗতনে বরগীতে তাহা হয়তো নাই, কিন্তু বিষয়-নিবাচনে সহজবোধ্য ভাষায় ও জনগণের মন হরণে বা রামের (দুইই এক) নামকৗতন এই সাহিত্যের মুখ্য উদ্দেশ্য। কাব্য বা রপে সাঁটি সেখানে গৌণ। ভগবভক্তি প্রচারের বাহন রাপেই ইহাদের স্বীকৃতি, তব যে সেই পর্যায় ছাড়িয়া কাব্য ও নাটকগুলি সত্যকার সাহিত্যের স্তরে উঠিয়াছে, ইহাই তাঁহাদের কৃতিত্ব। নাম-মালিকায় শিবনাম মহিমাও কিছু পাওয়া যায়। শ্রীযন্ত কাকতি মহাশয় বলেন—নামঘোষায় ত্রিধারা বত মান; শঙ্করুমতি,