পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীমন্ত শঙ্করদেব ও পরবতীর্ণগণ Bసి বীরাচারের মধ্য দিয়া দিব্যাচারে পৌছনো—কামময় জীবনের পরিসমাপিত আপ্তকাম, পাণকাম হইয়া। বৈষ্ণববাদীর কাছেও তাহা মত হইল রাধাকৃষ্ণরপে। পদ্মাবতীচরণচারণচক্লবতী জয়দেবই এই বৈষ্ণবসাধনার নতন উদ্গাতা। ভক্তের সহিত ভগবানের মিলন, রহমাবাদ সহোদরের মধ্য দিয়াই—দেহের প্রত্যেক অনুভূতিই দেহাতীত ইন্দুিয়াতীতকে পাইবার জন্য কৃষ্ণেন্দ্রিয় প্রীতি ইচ্ছা। মনে হয় মহাপরাষদের গভীর অন্তদাঁটি এই সত্যকে ক্ষণ করে নাই, বরং তাহারা উপলব্ধি করিয়াছিলেন যে পরকীয়া ভাবের মধ্য দিয়া.যে রসসাধনা, জনসাধারণকে তাহার উপযুক্ত হইতে হইলে প্রেম, ত্যাগ ও তপস্যার প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের পক্ষে অতিমানুষী ভাব প্রায় অসম্ভব। লরার প্রতি পেট্রাক, বিয়াট্টিচের প্রতি, ডাণ্টে বা ভিটোরিয়া কলোনার প্রতি মাইকেল এঞ্জেলোর প্রেমকে আমরা platonic বা অহেতুকী বলি। গৌড়ীয় বৈষ্ণব কবিদের প্রেম শুধু অহেতুকী নয়, দেহবজিতও নয়—সম্পণে ভাবে কারণপণ –তাই অসমীয়া বৈষ্ণব কবিরা সাধনার অন্য পন্থা ধরিলেন—কৃষ্ণের কিঙকর তাঁরা। অবশ্য গোপীভাব তাঁহাদের সাহিত্যে নাই, একথা বলিলে একটা ভ্রান্ত ধারণার সটি হয়। কিন্তু সেখানে অতিমানবীয় দাশনিক আরোপ নাই। উদ্ধব যখন বন্দোবনে গেলেন তখন গোবিন্দের বাতা কি, তিনি কুশলে আছেন কিনা জানিবার জন্য গোপিনীরা অত্যন্ত ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন। যোগমায়া উপাশ্রিত হইয়া শারদোৎফুল্ল রজনীতে কেলিগোপাল ক্লীড়া করিয়াছিলেন। রেমে রমেশঃ এই মানবীয় ভাবই প্রত্যেক গোপী সমরণ করিতে লাগিলেন সজলচক্ষে — কেহো গোপী বলে কহো বান্ধব উদ্ধব ব্রজক আসিব আর প্রাণর বান্ধব আর একজন বলেন— অনেক রাজার কন্যা বিহাইল মাধব এখন আর আমাত কোন কাজ খাবার অন্যজনের মতি উথলিয়া উঠিল, এইখানেই রাসকেলি করিয়াছিলেন— | আমার কন্ঠত কৃষ্ণ ধরি বাহুমেলি সাধারণ প্রেমিক নরনারীর সাধারণ সম্পককে মানুষী করিয়া কবি চোখের সামনে ধরিয়াছেন। দোষ-ত্রুটি নীতিজ্ঞান সব লোপ পাইয়াছে একটি গণে—তাঁদের প্রীতিবিমুগ্ধতায়— ভকতর বশ্য হরি জানিবা নিশচয় এবং তাঙ্ক লাগি তুমি যি যত আকুল তোমাসাক লাগে কৃষ্ণ তেনয় ব্যাকুল গোপীভাব যে তাঁরা জানিতেন না তাহা নয়—কিন্তু ব্রহয়ার দলভ ভাব-লক্ষীদেবীও নারায়ণের বক্ষে থাকিয়াও যে রস পান না সে রসের সাধনা সাধারণের জন্য নয়