পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্তমান যুগ ও ভবিষ্যতের ইঙ্গিত C: আবার সপোন’ কবিতাতে কানে কানে কথা কওয়া বিরহবেদনার বাণীটি কাব্যে মতি লইয়াছে, কুমারী মনের একটি স্নিগ্ধ ছবিতে রসে ভরপর— . আছিলো একদিন ধেমালি মগন য়া বয়সত নাচি নাচি উরি পখিলাটি আহি কলেহি মোর কাণত— ■ যেন বসন্তরাগেন যতিতালাভ্যাং’ একটি যৌবনপন্দনের ছবি। আর একজন সাহিত্যিক আগরওয়ালা ছিলেন। তাঁর ব্রহনযাত্রীর ডায়েরী, Mrs. Hemans @#Eetter Land RTCs of RER. Stein, Ho &#, Tom মানবী বেশেরে, জীবনসঙ্গীত প্রভৃতি কবিতা প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছে। প্রাচীন যুগের মত এই যুগেও নাটকের আদর ছিল। বিষয়বস্তু কিন্তু পৌরাণিক কাহিনী। লবোদর বরার শকুন্তলা ও দগণপ্রসাদ দত্তের বাষকেতু এই দুইটি নাটক সাহিত্যিক পর্যায়ে উন্নীত হইয়াছে বলা যায়। রাজদশনে মনের তপোবন-বিরোধী ভাবের আভাস বনজ্যোৎস্নাই নতুন ফলরপ যৌবন পাইছে’ এবং শকুন্তলার বণনা তেলওঠিটি লতার কুড়ি পাতর দরে রঙ্গা (ওঠরঞ্জনী), হাত দটি কোমল শখা তুলা, আর সবাঙ্গত ফলর নিচিনা মনোহর যৌবন বিকশিত—মাটির ভিতর পরা চিকমিকীয়া বিজলী ওলায় নে—কবির রসজ্ঞানের পরিচয় দেয়; কিন্তু দমেন্তের প্রায় নিক্ষিপ্ত শর নেমারির নেমারিবা সত্ত্বেও আশ্রমকন্যার বকে মীনকেতনের শরেই পর্যবসিত হইল—মহাকবি কালিদাসের এই যে অপব ভঙ্গী ও নাটকীয় গতি তাহা এই নাটকে পাইনা সত্য কিন্তু মোটের উপর কবির নাট্যজ্ঞান ক্ষীণ নয়। বর্ষকেতুও পৌরাণিক নাটক। কিন্তু বাষকেতুকে নাট্যকার শধে কথার আতিশয্যে পণ জ্ঞানী করিয়া তুলিয়া ও কিসের জন্য, দেহ ক্ষণস্থায়ী মাংসপিণ্ড, মরিলে ছাই হইবে না হয় পিপীলিকায় খাইবে ও ব্রহমশাপে কার কি হইয়াছিল তাহার সদেীঘ তালিকা দিয়া নাটকীয় রসবোধ ব্যাহত করিয়াছেন। কণা শুধু ভাবিতেছেন—আহা মোর বোপাই কেনে জ্ঞানবান।' আবার রসসাহিত্য ও প্রবন্ধগৌরবে সদানন্দর কলাঘমটি’, ’সদানন্দর নতুন অভিধান’, শ্রীলক্ষনাথ বেজবরয়ার ‘কৃপাবর বরবার কাকতর টোপোলো—প্রণিতত্ত্ব’, ‘অসমীয়া জাতি ডাঙ্গর জাতি প্রভৃতি প্রসিদ্ধ। সদানন্দ বলিতেছেন—’হে বিলাতী সরস্বতী আই, তুমি মোকfavour (অনুগ্রহ) করা’। বিলাতী দেবীসরস্বতীর সঙ্গে দেখা করিতে গেলে তিনি যদি ড্যাম নিগার নেটিভ বলিয়া তেড়ে উঠেন তাহা হইলে জনরে পড়িবার সম্ভাবনা । প্রবন্ধকার রসিক, তিনি চিঠির শেষে সাক্ষর করিতেছেন— Now good bye ময় পাঁও ঐ সম্প্রম হবলৈ মহাশয় 壘 “আপোনর অধিকতম বাধ্য চাকর স্যডানন্দ