পাতা:অসমীয়া সাহিত্য.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ö Ꮜ অসমীয়া সাহিত্য ai সদানন্দের নতুন অভিধানেও বিদ্রপের কশাঘাত— বাব মানে হইতেছে বাব+উ যার বাব আছে। যার মুখত সদাই ইংরাজী কথা, ককালত অতি পাতলা মলমলর ধতি, মুখত মধন, পেটত বিহ । ভণ্ডামী, শপথ ডাঙ্গর প্রতিজ্ঞা, মিছাকথা আর স্বাধীন ব্যবসার এড়া, আপোন জাতিক ঘিনোবা, যার আকাঙ্খা চাকরী আর উপাধিলাভ ইত্যাদি ইত্যাদি। অসমীয়া সাহিত্যের এই যুগের মুকুটমণি হইতেছেন শ্রীলক্ষীনাথ বেজবরয়া। তিনি একাধারে কবি, গলপলেখক, ঔপন্যাসিক, রসসাহিত্যিক, স্বদেশহিতপ্রাণ। তাহার উপর তিনি নতন করিয়া শঙ্করী কৃটি ও শঙ্করদেব-মাধবদেবকে উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ও বর্তমান শতাব্দীর প্রথমে অসমীয়াদের মনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি ডিকেন্সের পিকউইক পেপারের অনুকরণ করেন ‘কৃপাবর বরয়ার ওভতনিতে। আবার দেখি জৈমিনি ধমপক্ষীকে প্রশ্ন করিতেছেন, চুলি দাঁড়ি আর গোঁফের উৎপত্তি কিরাপ। কোকিল মৎসস্য লক্ষণং বিদ্যতে অত্র ইতি দাড়ি। চলতি বায়ভেরণে ইতি চুলি। গো কলত্যতঃ গোফ: ইতি দগ্ধবোধঃ । লেখক প্রত্নতত্ত্বের গবেষণায় বোসটন শহরে অস্টম বস্তৃতায় দাড়ি নিবারণী সভার পথাপনায় তেও বিলাকর ভিতরত যার দড়ীয়া গিরিয়েক আছে, তেও তেওর স্বামীক হয় নিদড়ীয়া করিব না হয় তেঁওক পরিত্যাগ করিব । তাঁহার ‘অসমীয়া জাতি ডাঙ্গর জাতি" আর একটি রস রচনা। কবি সখেদে বলিতেছেন-- “আমার নাই কি ? উমানন্দ আছে, কামাখ্যা আছে, জয় সাগরের দল আছে, শিবসাগরের দল আছে, ব্রহমপত্র আছে, দাঁখৌ আছে, অসমীয়া শেক্সপিয়ের আছে, অসমীয়া শেলী আছে, অসমীয়া পপ অব বম আছে, অসমীয়া মাটিন লুথার আছে। অসমীয়ার কলকারখানা বা নাই ? কুহিয়ার পেরা কলর পরা এন্দরে মরা কললৈকে, বাড়ীয়ে ধাপে অসমীয়ার কলর অন্ত নাই। বিলাতত টেমচ আমার দিখৌ, বিলাতত জাহাজ আমার খেলনাও . . কান্দলী, মণিরাম দেবান, শঙ্কর দেব .. এই এটাইবোর অসমীয়া তেন্তে আউর ক্যা ম্যাংতা হেয়’ অসমত পকা ঘর নাই— সেই বারে পাহরে যে অসমত ভূইকপ আছে। আকৌ কয় অসমীয়ার টকা नाद्यैঅসমীয়া মানহে মৌন মুখ হোবা নাই যে টকা উপাজন করি চিন্তচৰ্চা বঢ়াই অনর্থর গটি সি’চিলব কারণ অথমিথনথং ভাবয় নিত্যং।” ন্ত দুঃখ ও বেদনার সঙ্গে কবি এই চিত্র অকিয়াছেন। আবার অতি উচ্চাঙ্গের লিরিক কবি হিসাবেও সাহিত্যসম্রাট বেজবরয়ো খ্যাত। তাহার একটি উদাহরণ দিতেছি— সন্ধ্যার এক বিচিত্র ছবি কবি আমাদের চোখের সামনে ধরিতেছেন। রবীন্দ্রনাথের নামে সন্ধা তন্দ্রলেসা, সোনার আঁচল খসা আমরা পড়িয়ছি। যেন তার পুরের কথা কবির মনে উদয় হইতেছে—সন্ধ্যা আসিতেছে, দুরে তার নতুপরধৰনি ঝিলি